Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nadia

নাবালিকার বিয়ে রুখলেন শিক্ষিকারা, শান্তিপুরে নজির কন্যাশ্রী ক্লাবের

প্রথমে বিয়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও পরে তা মেনে নেয় পরিবার।

Teachers stopped child marriage in Santipur Nadia

নিজস্ব চিত্র।

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:April 5, 2024 6:07 pm
  • Updated:April 5, 2024 6:07 pm  

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: নদিয়ার শান্তিপুরে (Santipur) নাবালিকা কন্যার বিয়ে দিচ্ছিল পরিবার। বিশেষ সূত্রে সেই খবর যায় নাবালিকার স্কুলে। খবর পেয়েই তার বাড়িতে পৌঁছান স্কুলের শিক্ষিকা, কন্যাশ্রী ক্লাব ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের কথা অস্বীকার করা হয়। যদিও পরে পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে তাঁরা জানান, মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হলে বিয়ে দেবেন না।

স্কুল ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা শান্তিপুর সূত্রাগার গার্লস হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ওই এলাকাতেই থাকে সে। আইন অনুযায়ী মেয়ের বিয়ের বয়স না হলেও কন্যার অমতেই বিয়ে দিচ্ছিল পরিবার। সেই খবর যায় স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবে। তৎক্ষণাৎ স্কুলের শিক্ষিকারা খবর দেন স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতিকে।  শান্তিপুর থানায় (Santipur police Station) একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘অনেকের চাকরি খেয়েছেন, জনগণের আদালতে আপনার বিচার হবে’, অভিজিৎকে হুঁশিয়ারি মমতার]

অভিযোগ পেয়ে শিক্ষিকাদের নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে যায় পুলিশ। প্রথমে নাবালিকার পরিবার বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে নেন মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁরা। নাবালিকা কন্যাও জানায় তার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বিয়ে ঠিক করে পরিবার। অবশেষে নাবালিকার বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার মুচলেখা দেয় পরিবার।

[আরও পড়ুন: ‘বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, বাইরে BJP-র বাহিনী’, বিধায়কের মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক, ধুয়ে দিলেন সুজাতা]

সূত্রাগার গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আইভি প্রামাণিক বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়েদের জন্য একের পর এক প্রকল্প শুরু করছেন। তবুও মেয়েদের সুশিক্ষা এবং নাবালিকা অবস্থায় তাদের বিয়ে না দেওয়া প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষ এখনও পর্যন্ত ওয়াকিবহল নন। শান্তিপুর থানার পুলিশের সাহায্যে আমরা এক নাবালিকার বিয়ে রুখে দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি।” ভবিষ্যতে কেউ যেন এরকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তারও আর্জি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement