Advertisement
Advertisement

Breaking News

জন্মদিন পালন

স্কুলেই দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্মদিন পালন, অভিনব উদ্যোগ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

বাঁকুড়ার প্রান্তিক স্কুলের উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরাও।

Teachers organised a birthday party in Bankura's school
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 30, 2019 9:39 pm
  • Updated:November 30, 2019 9:48 pm  

টিটুন মল্লিক,বাঁকুড়া: ঠিক এক বছর আগে জন্মদিন ঠিক কি হয়, জানাই ছিল না বাঁকুড়ার ওন্দার দুবড়াকোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়া অনিল মুর্দুন্যা, কোহিনূর খাতুন, জাসমিনা খাতুন, ঋক মুর্দুন্যাদের। ঠিক এক বছর আগেও বড়দিন পালনের কথা শুনে জন্মদিন নিয়ে কৌতূহল জেগেছে। প্রশ্ন করেছে শিক্ষকদের। কিন্তু জীবনে এ দিন আসেনি তাদের। তাদের কাছে জন্মদিনে কেকের সামনে দাঁড়ানো,  সুর করে হ্যাপি বার্থডে বলা, এক ফুঁতে সব মোমবাতি নিভিয়ে এক কোপে আস্ত কেকটাকে কাটা এসবই ছিল অজানা। জন্মদিনে বন্ধু-আত্মীয়দের হাত থেকে উপহার পাওয়ার কথাও তাদের জানা ছিল না। শনিবার জীবনে প্রথমবার কেক কেটে, উপহার পেয়ে জন্মদিন পালনের স্বাদ পেল প্রান্তিক এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮ জন পড়ুয়া। সৌজন্যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

জন্মদিনের অনুষ্ঠানে একটি কেক ভাগ করে খেল স্কুল পড়ুয়ারা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই বিদ্যালয়ে প্রতি মাসে পড়ুয়াদের জন্মদিন পালন করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নতুন পাট ভাঙা শাড়ি পরে স্কুলে হাজির ছিলেন গৃহবধূ শিবানী বিদ। লোকের জমিতে দিনমজুর খেটে কোনওরকমে সংসার চলে তাঁদের। তাই ঘটা করে কেক কেটে‌ সন্তানের জন্মদিন পালনের প্রশ্নই ওঠে না। তবে শিবানীদেবীর কথায়,
“শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্যোগে জন্মদিন ঠিক কি হয়, তার স্বাদ পেলাম।” একই কথা বলছেন প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া আবদুল সারিনা মণ্ডলের মা রুফসানা মণ্ডল-সহ উপস্থিত অভিভাবকরা। প্রান্তিক ওই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা শিশু ও নারী কল্যাণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ সুমিত্রা মুখুটি। তিনি বলছেন, “এই উদ্যোগ প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিশু কল্যাণে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।” তিনি ওই খুদে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে সুর করে গাইলেন হ্যাপি বার্থডে টু ইউ। বার্থডে বয় এবং গার্লদের হাত থেকে কেক মাখলেন অভিভাবক থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলেই।

[আরও পড়ুন: যৌনতায় আপত্তি, শ্যালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন জামাইবাবুর]

প্রধান শিক্ষক বলেন, “মধ্যযুগে জার্মানরা যিশুর জন্মদিন উপলক্ষে ময়দা দিয়ে এমনভাবে কেক তৈরি করত যা দেখে মনে হত শিশু যিশুকে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখা হয়েছে। ধীরে ধীরে ছোট শিশুদের জন্মদিন পালন শুরু হয়। এটাকে বলা হত কিন্ডারফেস্ট। কিন্ডার মানে শিশু আর ফেস্ট মানে উৎসব। সন্তানদের পবিত্র আত্মাকে দুষ্টু আত্মা থেকে রক্ষা করতে এই উদ্যোগ।” বছরের একটা দিন বলে কথা, তাই জন্মদিনটা কেক-মোমবাতি আর বন্ধুদের সাথে হইচই করেই কাটুক!

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement