Advertisement
Advertisement

Breaking News

Barasat

দুয়ারে স্কুল! মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়েই পড়াচ্ছেন শিক্ষকরা

এভাবে পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে আত্মবিশ্বাসও বাড়ছে পরীক্ষার্থীদের।

Teachers in Denganga's school teach Madhyamik and Higher Secondary students at their doorsteps | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 20, 2022 8:35 pm
  • Updated:January 20, 2022 8:45 pm  

অর্ণব দাস, বারাসত: সামনেই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্ত করোনার বাড়বাড়ন্তের বন্ধ স্কুলের দরজা। এমন অবস্থায় মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়ানো শুরু করলেন বারাসতের (Barasat) দেগঙ্গার কুমারপুর পরশমণি শিক্ষাবিতান উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। জীবনের বড় দুটি পরীক্ষার আগে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই উদ্যোগকে ‘দুয়ারে স্কুল’ বললেও অত্যুক্তি হয় না। এভাবে পড়া বুঝে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে খুশি ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকরা।

Advertisement

আগামী ৭ই মার্চ থেকে মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা শুরু। এরপর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইনেই চলছে পড়াশোনা। কিন্তু এক্ষেত্রেও রয়েছে বেশ কিছু সমস্যা। তাই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের বিষয় ভিত্তিক ত্রুটি ধরিয়ে দিতে দেগঙ্গার কুমারপুর পরশমণি শিক্ষাবিতান উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চালু করলেন দুয়ারে স্কুল। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়েই ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ফলে সিলেবাস অনুযায়ী বিষয় ভিত্তিক ভুলত্রুটি সংশোধন করে নেওয়ার সুযোগও পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা।

[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১১ হাজার, নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস]

শুধু পড়াশোনা করানো নয়, ভাল রেজাল্টের জন্য মানসিকভাবেও পরীক্ষার্থীদের জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কুমারপুর পরশমনি শিক্ষাবিতান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফয়জুল হোসেন বলেন, “বিদ্যালয়ের গণ্ডির মধ্যে নিজেদেরকে আবদ্ধ রাখতে পারেনি। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দুয়ারে স্কুল কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: বিজেপিতে বাড়ছে বিদ্রোহের আঁচ, এবার শাহ-নাড্ডাকে চিঠি বাঁকুড়ার ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের]

করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতেও বাড়িতে বসে শিক্ষকদের পরিষেবায় উৎসাহিত ছাত্রছাত্রীরা। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সন্দীপ সরকারের কথায়, “পরীক্ষার আগে নিশ্চিত অনেকটা সুবিধা হবে শিক্ষকদের এই দুয়ারে বিদ্যালয় কর্মসূচির মাধ্যমে।” উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রিয়ানা সুলতানা বলছে, “করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা যেভাবে দুয়ারে এসে শিক্ষাদান করছেন তাতে আমরা উপকৃত হব।” দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকা যেসব সমস্যার মুখে পড়তে পারত পরীক্ষার্থীরা, নিমেষেই তার নিরসন হওয়ায়  আত্মবিশ্বাসও বাড়ছে তাদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement