চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: গত তিনদিন ধরে বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের আনাগোনা। বাড়ি লাগোয়া পুকুরে তল্লাশি। বাড়ির আশেপাশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি। সময় যত গড়িয়েছে ততই জোরাল হয়েছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেপ্তার। সোমবার কাকভোরে সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জালে আরেক বিধায়ক। স্বামীর গ্রেপ্তারি মানতে পারছেন না বিধায়ক ঘরনি টগরী। তবে ছেলে ‘শাস্তি’ পাওয়ায় যেন খুশিই হয়েছেন জীবনকৃষ্ণর বাবা।
রঘুনাথগঞ্জের জোতকমল পিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা টগরীর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় জীবনকৃষ্ণ সাহার। সন্তানও রয়েছে তাঁদের। বিধায়কের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে নজর রাখলেই বোঝা যায় দাম্পত্য সম্পর্ক বেশ ভালই ছিল জীবন ও টগরীর। সোমবার সকালে তিনি স্বামীর গ্রেপ্তারির অ্যারেস্ট মেমোয় সই করেন। সূত্রের খবর, স্বামী নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর থেকে শুধু কেঁদেই চলেছেন টগরী। স্বামীর খবরের খোঁজে বারবার টিভির পর্দায় নজর রেখেছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি তিনি বলেন, “এই জীবনকে আমি চিনি না।”
স্বামীর গ্রেপ্তারিতে বিধায়কপত্নী হতাশ। তবে তাঁর বাবা এবং সৎ মা এবং বোন যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। তাঁরা বর্তমানে বীরভূমের সাঁইথিয়ার বাসিন্দা। জীবনকৃষ্ণের বাবার দাবি, সন্তান হিসাবে ভাল ছিলেন না বিধায়ক। বড় হওয়ার পর থেকে বাবার সঙ্গে তেমন যোগাযোগও রাখতেন না তিনি। শুধু তাই নয়, বাবাকে মারধর করতেন বলেও অভিযোগ। এবং গ্রেপ্তারিরও হুমকি দিতেন জীবনকৃষ্ণ। তাই আতঙ্কে মুর্শিদাবাদে গিয়ে ব্যবসায়িক কাজকর্মও করতে পারতেন না বিধায়কের বাবা। এদিকে, দাদার গ্রেপ্তারিতে লজ্জিত বিধায়কের বোন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.