Advertisement
Advertisement

বিডিও পরিচয়ে ফুর্তি করতে গিয়ে জারিজুরি ফাঁস, গ্রেপ্তার বারাসতের শিক্ষক

শিক্ষকের সঙ্গী এক যুবককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Teacher lands in police net for posing as BDO at Barasat
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 26, 2019 4:10 pm
  • Updated:October 26, 2019 4:38 pm  

দেবব্রত দাস, খাতড়া: নিজেকে ডব্লিউবিসিএস অফিসার ও রানিবাঁধের পরবর্তী বিডিও পরিচয় দিয়ে একটি লজে দিনভর আনন্দ করতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সঙ্গী ছিলেন স্থানীয় এক যুবক। খোদ বিডিওর কাছেও একইভাবে জাহির করেছিলেন ডব্লিউবিসিএস অফিসার তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। অসংলগ্ন কথাবার্তায় ধরা পড়ে শ্রীঘরে গেলেন বারাসতের এক প্রাথমিক শিক্ষক। ভুয়ো পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে কনৌজ সরকার নামে ওই শিক্ষক ও তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করল বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় রানিবাঁধের বিডিও’র অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রানিবাঁধ থানার আইসি উত্তম দেবনাথ বলেন, “শুক্রবার রানিবাঁধের একটি লজে এসেছিলেন বারাসতের কাজিপাড়ার বাসিন্দা কনৌজ সরকার নামে ওই শিক্ষক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রানিবাঁধ থানার ঘাঘরা গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু মাণ্ডি। কনৌজ সরকার নামে ওই শিক্ষক লজ মালিকের কাছে নিজেকে রানিবাঁধের পরবর্তী বিডিও বলে ভুয়ো পরিচয় দিয়েছিলেন। রানিবাঁধের বিডিওর কাছেও নিজেকে ডব্লিউবিসিএস অফিসার পরিচয় দেন তাঁরা। কিন্তু খোঁজখবর করার পর জানা যায় যে সেটি ভুয়ো। এরপর রানিবাঁধের বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কী কারণে ওই শিক্ষক এই ভুয়ো পরিচয় দিয়েছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: কালীপুজোর উদ্বোধনে বাবুল গাইলেন “হটা সাওয়ান কী ঘটা”, থেমে গেল বৃষ্টি ]

রানিবাঁধের বিডিও শুভদীপ পালিত বলেন, “স্থানীয় একটি লজের মালিক শুক্রবার বিকেলে জানিয়েছিলেন যে এক ব্যক্তি নিজেকে রানিবাঁধের পরবর্তী বিডিও বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি জানার পর তাঁকে আমার অফিসে আসতে বলি। আমার অফিসে এসেও ওই ব্যক্তি নিজেকে প্রথমে ডব্লিউবিসিএস অফিসার বলে পরিচয় দেন। পরে আবার ২০১৭ সালের ডব্লিউবিসিএস পাশ বলে দাবি করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। তিনি যে ডব্লিউবিসিএস অফিসার নন, তা পরিষ্কার হয়ে যায়। এরপর আমি ও থানার আইসি তাঁকে চেপে ধরি। তখনই তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত এলাকার বাসিন্দা কনৌজ সরকার বলে নিজের পরিচয় দেন। হাড়োয়ার ডিহিগাছি হেমন্তলাল ঘোষাল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তিনি। হাড়োয়ার বিডিও দীপঙ্কর দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ব্যক্তির আসল পরিচয় জানা গিয়েছে। এরপর আমি রানিবাঁধ থানায় ওই ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গীর বিরুদ্ধে মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছি।”

শনিবার ধৃতদের খাতড়া মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন অবশ্য ধৃতরা এ ব্যাপারে কিছু জানাতে অস্বীকার করেছেন।

ছবি: পরেশ মাইতি

[ আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে গেল বাস, দুর্ঘটনায় জখম ১৫ যাত্রী ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement