Advertisement
Advertisement
করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ

আবেদনে সাড়া, করোনা ভ্যাকসিনের মানব পরীক্ষার জন্য ডাক পেলেন দুর্গাপুরের শিক্ষক

ICMR-এর তরফে তাঁকে ফোন করে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

Teacher from Durgapur receives call from ICMR for human trial of Covaxin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 7, 2020 6:27 pm
  • Updated:July 7, 2020 6:36 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: প্রতীক্ষার অবসান। দু’মাস আগে করা আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় অবশেষে লক্ষ্য পূরণ হতে চলেছে দুর্গাপুরের শিক্ষক চিরঞ্জিত ধীবরের। চিরঞ্জিত এ রাজ্যের প্রথম ব্যক্তি, যাঁর শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে ভারতে তৈরি করোনা প্রতিষেধক Covaxin। দিন দুই আগে ICMR-এর তরফে ফোন করে তাঁর আবেদন মঞ্জুরের খবর জানানো হয়েছে। মা, বাবার আশীর্বাদ নিয়ে এবার চূড়ান্ত পর্যায়ের মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক এবং ICMR-এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনা প্রতিষেধকের হিউম্য়ান ট্রায়াল হবে দেশের মোট ১২ টি সংস্থায়। ভুবনেশ্বরের এক বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক চিরঞ্জিত ধীবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মানুষের স্বার্থে ভ্রাম্যমান থানা, নদিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে অভাব-অভিযোগ শুনছে পুলিশ]

এর পদ্ধতি যা জানা গিয়েছে, তা অনেকটা এরকম – প্রথমে কিছু মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, তবেই শরীরে প্রয়োগ করা হবে এই ভ্যাকসিন। সমস্ত প্রোটোকল মেনে ট্রায়ালে (Human Trial) বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। সম্প্রতি ICMR-এর বিজ্ঞানী ড. সমীরণ পান্ডা চিরঞ্জিতকে ফোনে এই খবর জানিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুতও থাকতে বলেছেন। এই ট্রায়ালের সময়ে মোট ৬ দিন যেতে হবে হাসপাতালে।

ICMR-এর তরফে ফোন পেয়ে স্বভাবতই খুশি চিরঞ্জিত ও তাঁর বাবা, মা। ওড়িশায় যেতে সমস্যা হলে প্রয়োজনে নিজের বাইক নিয়েও ছুটবেন সেখানে, এমনই জানিয়েছেন আপ্লুত চিরঞ্জিত ধীবর। বলছেন, “দেশ ও মানবসেবার ইচ্ছা ছিল বহুদিন। কিন্তু সেই সুযোগ অবশেষে এল। সবাই এই সম্মান পান না। আমার সামনে সেই সুযোগ এসেছে। আমি নিশ্চিত, শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমি দেশের মানুষকে করোনা (Coronavirus) থেকে মুক্তির পথ বাতলে দিতে ওই ভ্যাকসিনও ধারণ করতে পারব। দেশবাসীর শুভেচ্ছা ও আর্শীবাদ রয়েছে আমার সঙ্গে।”

[আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত রাজ্যের, জেনে নিন ছাড় মিলবে কোন কোন ক্ষেত্রে]

প্রথম প্রথম ছেলের এই ‘মানব কল্যাণ’ ব্রত নিয়ে মা প্রতিমা দেবীর আপত্তি থাকলেও এখন আর নেই। তিনি জানান, “ছেলে দেশ মায়ের সেবায় যাচ্ছে। দেশ ও মানব সেবায় সমর্পণ করেছে নিজেকে। এখন গর্ব হচ্ছে আমার। সমগ্র দেশবাসীর আশীর্বাদ ওর সঙ্গে রয়েছে। ও সুস্থ হয়েই বাড়ি ফিরবে। দেশের মঙ্গল করলে ছেলেরও মঙ্গল হবে।” বছর তিরিশের চিরঞ্জিতের এই লড়াকু সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তাঁর স্কুলের সহকর্মীরাও। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ওড়িশা থেকে তাঁর ডাক আসবে বলে আশা করছেন চিরঞ্জিত ধীবর।

ছবি: উদয় গুহরায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement