পলাশ পাত্র, তেহট্ট: বিয়ের বছরখানেকের মধ্যেই দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি৷ স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে অশান্তি লেগেই ছিল দু’জনের৷ সেই অশান্তির মাঝেই বাড়ি থেকে উদ্ধার শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার গমাখালিতে৷ অতনু ঘোষ নামে ওই শিক্ষক মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ নিহতের স্ত্রীকে জেরা করছে পুলিশ৷
কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন অতনু ঘোষ৷ বছরদুয়েক আগে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি৷ প্রথমে সাহেবপাড়া স্কুলে পড়াতেন অতনু৷ বছরখানেক আগে বিয়ে করেন তিনি৷ বিয়ের পরই সাহেবপাড়া স্কুল থেকে বদলি হয়ে বাজখাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে শুরু করেন অতনু৷ ওই স্কুলটি কৃষ্ণনগর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ পরিবার সূত্রে খবর, অতনুর স্ত্রী কৃষ্ণনগরের বাড়ি থেকে স্কুলে না যাওয়ার জন্য চাপ দিত তাঁকে। বাধ্য হয়ে অতনু গমাখালিতে স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসেন। ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন দু’জনে। তাতেও দাম্পত্য অশান্তি লেগেই থাকত তাঁদের৷ বেশ কয়েকদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অতনু৷ তবে ছোট থেকেই চাপা স্বভাবের হওয়ায় কাউকে কিছু বলেননি তিনি৷ তবে এমন পরিণতি হবে তা ভাবতেও পারেননি পরিজনেরা৷ শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই অবাক হয়ে যান ওই শিক্ষকের স্ত্রী-ও৷ তিনি দেখেন, রান্নাঘরে ঝুলছে স্বামীর দেহ৷ স্ত্রী-র চিৎকারে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান৷ তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নতিডাঙা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে৷
খবর পেয়ে থানারপাড়া থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ অতনুর দেহ উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷ পুলিশের দাবি, মৃতের গলায় দড়ির দাগ পাওয়া গিয়েছে৷ আত্মহত্যা নাকি খুন করা হয়েছে তাঁকে, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য৷ পরিবারের দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির জেরে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি৷ আদৌ তাঁর পরিজনদের অভিযোগ সত্যি কী না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.