স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া পুরোটাই হবে অনলাইনে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগে এমন বড়সড় বদল আনতে চলেছে শিক্ষা দপ্তর। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিধানসভার লবিতে এই বদলের পরিকল্পনার কথা জানান। আগে থেকেই তিনি দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য সওয়াল করেছেন। বিধানসভায় প্রশ্নোত্তরেও স্বীকার করেছিলেন, বেশ কিছু বদল আনা দরকার। আর এদিন জানালেন, এখন থেকে নিয়োগের আবেদন থেকে শুরু করে গোটা প্রক্রিয়াই হবে অনলাইনে। স্কুলগুলি শূন্যপদের বিষয়েও এসআই-মারফত না জানিয়ে সরাসরি অনলাইনে শিক্ষা দপ্তরে জানাবে। সেই মতো শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অর্থাৎ এ ব্যাপারে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কোনও ভূমিকা থাকবে না। পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হবে। এক্ষেত্রে কোনও ‘ওয়েটিং লিস্ট’ বা অপেক্ষমান তালিকা থাকবে না।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের কোথাও রাস্তা আটকে দুর্গাপুজো করা যাবে না, কড়া নির্দেশ নবান্নের]
বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া আরও সরল ও স্বচ্ছ করা হচ্ছে। রাজ্যের পরবর্তী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া এই নিয়ম মেনেই হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। নয়া নিয়মের খসড়া ইতিমধ্যেই রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এই ব্যবস্থা কি না সে প্রশ্নে পার্থবাবু স্পষ্ট বলেছেন, “বেনিয়মের অভিযোগ তথ্যপ্রমাণ-সহ দিতে পারলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পার্থবাবু আগেই উল্লেখ করেছিলেন, শূন্যপদের সংখ্যা অনেক আগে জানানোয় সমস্যা তৈরি হয়। যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়, তখন আরও পদ শূন্য হয়ে গিয়েছে বলে দেখা যায়। ফলে সামঞ্জস্য থাকে না। এদিনই তিনি জানান, কলেজে গেস্ট টিচারের সংখ্যা আড়াই হাজার। ইউজিসি-র নিয়ম অনুযায়ী এই শিক্ষক-অধ্যাপকরা যোগ্যতাসম্পন্ন। তাই কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় তাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া যেতে পারে কি না তা ভাবছে রাজ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.