শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: চুল কেটে এক ছাত্রকে স্কুল ক্যাম্পাসে ঘোরানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্রে। খবর পেয়ে স্কুলে হাজির হন ওই পড়ুয়ার বাবা, মা, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশ। অভিভাবক-শিক্ষক বৈঠকে ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে সমস্যা মিটিয়ে নেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্রে একাদশ শ্রেণির ছাত্র রবীন্দ্র সরকারকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চতুর্থ পিরিয়ডে কোনও শিক্ষক ক্লাসে ছিলেন না। অভিযোগ, সেই সময় রবীন্দ্রকে উত্ত্যক্ত করছিল তার এক সহপাঠী। তা নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়ে দু’জনে। ঠিক সেই সময় শ্রেণিকক্ষের পাশ থেকেই যাচ্ছিলেন প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ, ঝামেলা নজরে পড়তেই প্রধান শিক্ষক টানতে টানতে রবীন্দ্রকে কমনরুমে নিয়ে গিয়ে তার চুল কেটে দেন। রাগে-ক্ষোভ গোটা ঘটনাটি ফেসবুকে বর্ণনা করে ওই ছাত্র।
এরপর শনিবার সকালে স্কুলে হাজির হন ওই পড়ুয়ার বাবা, মা, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশ। বিষয়টি মিটিয়ে নিতে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে ওই পড়ুয়াকে চেপে ধরতেই সে বলে, “সামান্য চুল কেটেছিলেন স্যার। স্কুল ক্যাম্পাসেও ঘোরাননি। আমি রাগে, দুঃখে ভুল করে লিখে ফেলেছি।” এরপরই ওই পড়ুয়ার অভিভাবকের কাছে ছবিটা কিছুটা স্পষ্ট হয়। প্রধান শিক্ষক আশ্বাস দেন সম্পূর্ণ সহযোগিতার। এরপর ওই পড়ুয়ার মা জানান, “কাল থেকে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ছেলেকে ওই স্কুলে কী করে পাঠাব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এখন অনেকটা স্বস্তি পেয়েছি।” এবিষয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রীতিতোষ মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, “সব মিটে গিয়েছে। স্কুলের বিষয়, অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।” স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “ছাত্রের ভবিষ্যতের ব্যাপার। তাই আমি সমাধানের জন্য স্কুলে গিয়েছিলাম। আমিও ওই স্কুলের একসময় ছাত্র ছিলাম। আর শিক্ষকরা তো শাসন করতেই পারেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.