নন্দন দত্ত, শিউড়ি: ১ জুন থেকে খুলছে না বাঙালির প্রিয় মহাপীঠ তারাপীঠ। তবে খুলে দেওয়া হবে বীরভূমের বাকি ৩ সতীপীঠ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় বন্ধ রাখা হচ্ছে এই ধর্মস্থান। ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে তারাপীঠ মন্দিরের দরজা।
শুক্রবারই সাংবাদিক বৈঠক করে ১ জুন থেকে রাজ্যের ধর্মস্থানগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই ছাড়পত্রে গা ভাসাতে রাজি নন তারাপীঠ কর্তৃপক্ষ। ১৫ জুন পর্যন্ত তাঁরা মন্দির চত্বর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। বাঙালির শক্তিপীঠ বীরভূমে, তারাপীঠ ছাড়াও রয়েছে আরও তিনটি সতীপীঠ। তারাপীঠ না খুললে বাকি সতীপীঠগুলি খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তারাপীঠ কর্তৃপক্ষ এদিন জানান, “যে হারে মারণ ভাইরাস সংক্রমণের গতিবেগ বাড়িয়েছে তাতে মন্দির চত্বর খুলে দিলে বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই ১৪ জুন পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখা হবে। সেদিনই বৈঠক করে চূ়ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”
প্রশ্ন হল তাহলে এই জেলার অন্য সতীপীঠগুলি খোলা হবে কী করে? নলাটেশ্বরী, নন্দিকেশ্বরী, কঙ্কালিতলা মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, “তারাপীঠে ভক্তদের সমাগম বেশি। তুলনামূলকভাবে বছরের বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা থাকে কঙ্কালিতলা, নলাটেশ্বরী ও নন্দিকেশ্বরী মন্দির। তাই ১ জুন থেকেই এই মন্দিরগুলি খোলা থাকবে।” তবে মন্দির খোলা থাকলেও কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বেশ কিছু বিষয়ে। যেমন- মন্দিরে ১০ জনের বেশি প্রবেশে অনুমতি নেই। কোনও বড় অনুষ্ঠানের দিন বন্ধ থাকবে মন্দির প্রাঙ্গণগুলি। মন্দিরে প্রবেশের পর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে বীরভূমের এই সতীপীঠগুলি বাদ দিলেও বক্রেশ্বর মন্দির সোমবার থেকে খোলা হবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। মন্দির কর্তৃপক্ষ বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।
গ্রীষ্ম হোক বা শীত, কাছে পিঠে ঘুরে আসার জন্য বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় স্থান এই বীরভূমের সতীপীঠগুলি। তারাপীঠ ছাড়াও এখানে রয়েছে কঙ্কালিতলা, নলাটেশ্বরী ও নন্দিকেশ্বরী মন্দির। লকডাউনের জেরে মার্চ থেকেই বন্ধ হয়ে যায় এই মন্দিরগুলি। তবে এখন দেখার কবে তারাপীঠ কর্তৃপক্ষ ভক্ত ও ভগবানের মিলন ঘটান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.