Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বাস্থ্যবিধি মেনে রথযাত্রার দিন খুলল তারাপীঠ মন্দির, মঙ্গলারতি করে শুরু পুজো

সামাজিক দূরত্ব মেনে পুজো দেন ভক্তরা।

Tarapith Mandir is reopened from 23 June, people should follow health guideline
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 23, 2020 9:22 am
  • Updated:June 23, 2020 9:30 am  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: তিন মাস বন্ধ থাকার পর রথযাত্রার দিন খুলল তারাপীঠ মন্দির। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটায় মন্দির খোলে। তারপর মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু হয় পুজো। ভোর থেকেই ভক্তরা ভিড় জমান মন্দিরে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে পুজো দেওয়ার প্রক্রিয়া। তবে করোনা থেকে সচেতন থাকতে এখনই মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি।

করোনা সংক্রমণ রুখতে কয়েকমাস ধরেই বন্ধ রাজ্যের প্রায় সমস্ত মন্দির। পরবর্তীতে আনলক ওয়ানে একে একে খুলে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু মন্দির। কিন্তু তারাপীঠ মন্দির খোলা নিয়ে কিছুতেই সিদ্ধান্তে আসতে পারছিল না মন্দির কমিটি। এই পরিস্থিতিতে চলতি মাসের ১৪ তারিখ বৈঠকে বসেন মন্দির কমিটির সদস্যরা। সেখানে কেউ দাবি করেন, খুলে দেওয়া হোক তারাপীঠ মন্দির। ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির। সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে পুজো দেওয়া। এবার সেই একই রাস্তায় হাঁটল তারাপীঠ মন্দির কর্তৃপক্ষও। করোনা থেকে বাঁচতে মন্দির চত্বরে বসেছে স্যানিটাইজেশন মেশিনও।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: টিফিনের জমানো টাকায় হাওড়ার আমফান বিধ্বস্তদের পাশে খুদে পড়ুয়ারা, বিলি করল খাদ্যসামগ্রী ]

রথযাত্রার শুভদিনে মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো মঙ্গলবার ভোর ৫টায় মন্দিরের প্রবেশদ্বার ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ভক্তদের স্যানিটাইজেশন মেশিনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সামাজিক দূরত্ব যাতে মেনে চলা হয় তার জন্য মন্দির প্রাঙ্গণেই লাল দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই দাঁড়াতে হচ্ছে ভক্তদের। তবে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারলেও ভক্তদের গর্ভগৃহে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে থেকেই পুজো দিচ্ছেন তাঁরা। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কার কারণেই এবছর রথের দিন তারা মাকে নিয়ে রথযাত্রা স্তগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি। এ প্রসঙ্গে কমিটির তরফে জানানো হয়েছে যে, “ভক্তদের সঙ্গে মায়ের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হলেও মানসিক দূরত্ব থাকবে না। পরবর্তীতে পরিস্থিতিত বিবেচনা করে দর্শনার্থীদের গর্ভগৃহে প্রবেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

১৩ জুন সকালে আমজনতার জন্য দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। সামাজিক দূরত্ব মেনেই পুজো দেওয়ার জন্য লাইন দেন তাঁরা। প্রত্যেকের মুখেই ছিল মাস্ক। লাইন শুরু হওয়ার আগে ভক্তদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম যাতে ভঙ্গ না হয়, তাই নির্দিষ্ট দূরত্বে কাটা হয় দাগ। নিরাপত্তাকর্মীরা প্রত্যেকেই পিপিই কিট পরে কাজ করেন। পুজোর অর্ঘ্যে ফুল দেওয়া দক্ষিণেশ্বরে করোনা আবহে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চরণামৃত দেবেন না পুরোহিতরাও। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি ভক্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না।

[ আরও পড়ুন: ফের বেলাগাম সৌমিত্র খাঁ, রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাকে ‘হাফপ্যান্ট মন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement