ছবি: সুশান্ত পাল
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: আজ শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে তারাপীঠে তারা মায়ের আবির্ভাব দিবস। এই একটি দিনই মূল মন্দির থেকে বিরাম মঞ্চে বের করে আনা হয় মা’কে। দিনভর চলে বিশেষ পুজো। তাই সকাল থেকেই শক্তির আরাধনায় ভক্তদের ভিড় তারাপীঠ মন্দিরে। কোনওপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য সতর্ক মন্দির কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও প্রসাশন।
কী এই দিনটির মাহাত্ম্য? কথিত আছে, তারা মায়ের বোন মৌলাক্ষাদেবী মা। ঝাড়খণ্ডের মলুটিতে অধিষ্ঠান তাঁর। এই চতুর্দশীতেই মুখোমুখি বসে কথা বলে দুই বোন। যেহেতু মৌলাক্ষাদেবী পশ্চিমমুখী, সেই কারণে তারা মাকেও (Maa Tara) বছরের এই একটি দিন পশ্চিম মুখ অর্থাৎ শ্মশানের দিকে মুখ করে বসানো হয়।
আরও কথিত আছে, পাল রাজত্বের সময় জয় দত্ত সওদাগর স্বপ্নাদেশ পান। আশ্বিন মাসের শুক্লা চতুর্দশীতেই শ্মশান থেকে তারা মায়ের মূর্তি এনে মন্দিরে (Tarapith Temple) প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকেই প্রতিবছর এই সময় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। তারা নামটিও এই সময় থেকেই প্রচারের আলোয় আসে। এই বিশেষ দিনটিতে আবার দিনভর উপোস থাকেন মা তারা। অন্নভোগ হয় না। সে কারণে মন্দিরের সেবায়েতরাও অন্নগ্রহণ করেন না। তবে দুপুরেই শুরু হয়ে যায় রাতের ভোগের প্রস্তুতি।
এদিন ভোর তিনটে নাগাদ মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বিরাম মঞ্চে বের করে আনা হন মাকে। স্নানপর্বের পর তাঁকে সাজানো হয় রাজ-রাজেশ্বরী সাজে। এরপর শুরু হয় মঙ্গল আরতি। দিনভর ফল-মিষ্টি খেতেই থাকেন মা। এরপর সন্ধারতি শেষে মাকে গর্ভগৃহে নিয়ে যাওয়া হয়। স্নান করিয়ে ফের নতুন করে সেজে ওঠেন তিনি। রাতে হয় মহাভোগ। মায়ের কাছে অন্নভোগ নিবেদন করার পরই উপবাস ভাঙেন সেবায়েতরা। শক্তির আরাধনায় এদিন ভোর থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন ভক্তরা। তাই মন্দির চত্বরের নিরাপত্তাও আঁটসাট করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.