Advertisement
Advertisement

Breaking News

মহিষাদলে দেখা মিলল ট্যারান্টুলার, আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা

বিষাক্ত মাকড়সাটিকে পুড়িয়ে মারলেন গ্রামবাসীরা।

Tarantula scare surfaces in East Midnapore
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 25, 2018 12:41 pm
  • Updated:May 25, 2018 12:41 pm  

রঞ্জন মহাপাত্র,পূর্ব মেদিনীপুর: গরম পড়তেই ফের ট্যারান্টুলার আতঙ্ক ফিরল পূর্ব মেদিনীপুরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মহিষাদল ও পটাশপুরের বিষাক্ত এই মাকড়সার দেখা মিলেছে। মহিষাদলে দেখামাত্রই পতঙ্গটিকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেন গ্রামবাসীরা।

কাটোয়ায় আতঙ্ক, অজানা ঘাতকের হাতে প্রাণ গেল ৬৮টি ভেড়ার ]

Advertisement

গরমকালে গাঁ-গঞ্জে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। কিন্তু, ট্যারান্টুলা প্রজাতির বিষাক্ত মাকড়সা আতঙ্ক বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে গ্রামবাসীদের। ঝাড়গ্রামে মাকড়সার কামড়ে হাসপাতালে ভরতি এক মহিলা। দিন কয়েক আগে আবার দূরপাল্লার ট্রেনে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় এক যুবককে বিষাক্ত পোকা কামড়েছিল। পরে হাসপাতালে মারাও যান তিনি। চিকিৎসকের অনুমান, বিষাক্ত পোকাটি ট্যারান্টুলা। আর এবার ট্যারান্টুলার আতঙ্ক ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদল ও পটাশপুরেও। মহিষাদলের  রঙ্গীবলান গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এই বিষাক্ত মাকড়শার দেখা মিলেছে। বাড়ির মালিক নারায়ণ মেটার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে যখন তিনি পড়াশোনা করছিলেন, তখন মেঝেয় কুচকুচে কালো রঙের একটি মাকড়সা দেখতে পান। তাঁর দাবি, ওই মাকড়সাটি ট্যারান্টুলা প্রজাতির। আর কোনও ঝুঁকি নেননি বাড়ির লোকেরা। মাকড়সাটিকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেন তাঁরা। শুধু মহিষাদলেই নয়, পটাশপুরে ট্যারান্টুলার দেখা পাওয়া গিয়েছে। অন্তত তেমনই দাবি গ্রামবাসীদের। আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

[ বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নামে নাবালিকাকে অপহরণ, আপত্তিকর ছবি ছড়াল ‘প্রেমিক’ ]

কয়েক মাস আগেই ট্যারান্টুলার কামড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল হুগলির চণ্ডীতলায়। আতঙ্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, সাধারণ মাকড়সা দেখেও আঁতকে উঠছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে ছাদে পায়চারি করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় লক্ষ্মণপুর গ্রামে বাসিন্দা কেনারাম বাগ। আচমকাই ডান হাতে যন্ত্রণায় কঁকিয়ে ওঠেন। প্রথমে ঘরোয়া উপায়ে তাঁর যন্ত্রণা উপশমের চেষ্টা করা হয়। শেষপর্যন্ত কেনারামবাবুকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। কিন্তু, তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। বরং যন্ত্রণা আরও তীব্র হতে থাকে। কিছুক্ষণ পর মারা যান কেনারাম বাগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ট্যারান্টুলার কামড়ই খেয়েছিলেন তিনি।

[ভিক্ষাবৃত্তি সম্বল করেই ১২০ জনকে আশ্রয় দিয়ে সম্মানিত উলুবেড়িয়ার রূপালি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement