সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দিন বেড়েই চলেছে ট্যারান্টুলার আতঙ্ক৷ নয়াগ্রামের পর এবার ঝাড়গ্রাম৷ ট্যারান্টুলার বিষাক্ত মাকড়সার আতঙ্কে কার্যত সিঁটিয়ে রয়েছেন জামবনী ব্লকের ধড়শা অঞ্চলের অস্থাপাড়া ও খুকড়াখুপি গ্রাম৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে খুকড়াখুপি গ্রামের বাসিন্দা পীযূষকান্তি মান্ডি খাওয়ার পর ঘুমাতে যান৷ সেই সময় তাঁর ছেলে বাড়ির দেওয়ালে অদ্ভুত ধরনের একটি মাকড়সা দেখতে পায়। এরপর বাবাকে ডেকে মাকড়সাটিকে একটি জারের মধ্যে ঢুকিয়ে বন্ধ করে রাখে৷ তবে সকালে জারের মধ্যে থাকা অবস্থায় মাকড়সাটি মারা যায়৷ স্থানীয়দের অনুমান, মৃত ওই মাকড়সাটি ছিল ট্যারান্টুলা প্রজাতির৷ কয়েক দিন যাবৎ জেলাজুড়ে একের পর এক বিষাক্ত মাকড়সা উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা৷
গরমকালে গাঁ-গঞ্জে পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। কিন্তু, ট্যারান্টুলা প্রজাতির বিষাক্ত মাকড়সা আতঙ্ক বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে গ্রামবাসীদের৷ এর আগেও ঝাড়গ্রামে মাকড়সার কামড়ে হাসপাতালে ভরতি হন এক মহিলা৷ দিন কয়েক আগে আবার দূরপাল্লার ট্রেনে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় এক যুবককে বিষাক্ত পোকা কামড়েছিল। পরে হাসপাতালে মারাও যান তিনি৷
এই ঘটনার পরই ট্যারান্টুলার আতঙ্ক ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদল ও পটাশপুরেও৷ মহিষাদলের রঙ্গীবলান গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এই বিষাক্ত মাকড়শার দেখা মেলে বলে খবর৷ বাড়ির মালিক নারায়ণ মেটার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে যখন তিনি পড়াশোনা করছিলেন, তখন মেঝেয় কুচকুচে কালো রঙের একটি মাকড়সা দেখতে পান। শুধু মহিষাদলেই নয়, পটাশপুরে ট্যারান্টুলার দেখা পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে৷
কয়েক মাস আগেই ট্যারান্টুলার কামড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল হুগলির চণ্ডীতলায়। আতঙ্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, সাধারণ মাকড়সা দেখেও আঁতকে উঠছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে ছাদে পায়চারি করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় লক্ষ্মণপুর গ্রামে বাসিন্দা কেনারাম বাগ। আচমকাই ডান হাতে যন্ত্রণায় কঁকিয়ে ওঠেন। প্রথমে ঘরোয়া উপায়ে তাঁর যন্ত্রণা উপশমের চেষ্টা করা হয়। শেষপর্যন্ত কেনারামবাবুকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। কিন্তু, তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। বরং যন্ত্রণা আরও তীব্র হতে থাকে। কিছুক্ষণ পর মারা যান কেনারাম বাগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ট্যারান্টুলার কামড়ই খেয়েছিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.