সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ঝালদার (Jhalda) উপ নির্বাচনে জয়ী নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। অর্থাৎ তৃণমূল প্রার্থীকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন কংগ্রেস প্রার্থী। ফল প্রকাশ হতেই মিঠুন বলেন, “এই জয় আমার কাকুর জয়, আমার কাকিমার চোখের জলের জয়।” এদিকে চন্দননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন বামপ্রার্থী।
কয়েকমাস আগে পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu) খুন হন। স্বাভাবিকভাবেই তাই তাঁর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে লড়েন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো মিঠুন কান্দু। প্রার্থী হিসেবে নাম প্রকাশের পরই কাকার আদর্শকে অবলম্বন করে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন মিঠুন। গত রবিবার ভোট হয়। প্রথম থেকেই ভোটের ফল নিয়ে আশাবাদী ছিলেন নিহত কাউন্সিলরের ভাইপো। বুধবার গণনা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় ফল।
ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ভোটার ১১৭৯ জন। তার মধ্যে কংগ্রেস প্রার্থী তথা তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু ৯৩০ টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ৭৭৮ টি ভোটে জয়ী হয়েছেন মিঠুন। অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগন্নাথ রজক। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৫২। বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস পেয়েছেন মাত্র ৩২ টি ভোট। ফল প্রকাশের পর মিঠুন বললেন, “কাকুর স্বপ্ন পূরণ করব। কমিউনিটি হল, নর্দমা, রাস্তার কাজ করব।”
এদিকে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজক। তিনি বলেন, “জয় প্রত্যাশিত ছিল। পিছন থেকে ছুরি মারা হল। ঝালদা শহর তৃণমূল কংগ্রেস এই কাজ করল।” এদিকে চন্দননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন বাম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩০ ভোটে জিতেছেন তিনি। জয়ের পরই রাস্তায় নেমেছেন অশোকবাবু। তিনি বলেন, “৩২ বছর পর এই ওয়ার্ডে জয় পেল বামেরা। এটা অত্যন্ত আনন্দের। আমরা মানুষের জন্য কাজ করব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.