Advertisement
Advertisement

Breaking News

Tajpur

তাজপুরে ২ অবৈধ হোটেল নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ ভূমি দপ্তরের, ৭ দিনের মধ্যে উত্তর না দিলে আইনি ব্যবস্থা!

অবৈধ নির্মাণ বন্ধের জন্য আগেও ব্লক ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তর একাধিকবার এমন নোটিস জারি করেছে।

Tajpur administration orders to stop illegal hotel construction

এভাবেই চলছে নির্মাণকাজ। নিজস্ব চিত্র

Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 19, 2025 3:11 pm
  • Updated:March 19, 2025 4:42 pm  

রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: তাজপুর পর্যটনকেন্দ্রে অবৈধ দু’টি হোটেলের নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশিকা জারি করল রামনগর ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। পাশাপাশি সমুদ্র চুরি করে গার্ডওয়াল তৈরির জন্যে দু’টি হোটেল মালিককে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে উত্তর না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ভূমিসংস্কার দপ্তরের পক্ষ থেকে। এদিকে, অবৈধ নির্মাণের কারণে এর আগেও ব্লক ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তর একাধিকবার এমন নোটিস জারি করেছে। তারপরও কার মদতে প্রশাসনিক নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে এমন অবৈধ নির্মাণের কাজ চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।

কোস্টাল রেগুলেশন জোন অর্থাৎ সিআরজেড আইন অনুযায়ী, জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল যত দূর পৌঁছয়, সেখান থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও নির্মাণ কাজ করা যায় না। অথচ, তাজপুরে (Tajpur) সৈকতপাড়ে এমন লজও রয়েছে, জোয়ারের সময় যার দেওয়ালে আছড়ে পড়ছে সমুদ্রের ঢেউ। সৈকতের ধারে বেশ কয়েকটি হোটেলে আবার জোয়ারের জল গার্ডওয়াল টপকে ঢুকে পড়ছে। সিলামপুর, দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর, সোনামুই মৌজায় নিচু জলাজমি ভরাট করে চলছে একের পর এক নির্মাণ বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে একপ্রকার উদাসীন প্রশাসনের একাংশ বলেও অভিযোগ। তাছাড়া যে দু’টি হোটেলে নোটিস পাঠানো হয়েছে সেই দু’টি হোটেল একদম সমুদ্রের চরের উপর গার্ডওয়াল বসিয়ে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে। কোথাও আবার সমুদ্র পাড়েই সুইমিং পুল তৈরির কাজ চলছে। পাশাপাশি জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল গার্ডওয়ালে ধাক্কা মেরে ভিতরে ঢুকছে। অভিযোগ, দিনের আলোয় অবৈধ নির্মাণ কাজ হলেও পুলিশ চুপ। কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক দেবাশিস দত্ত বলেন, “অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় কাজ করে থাকি। দু’টি লজে আগে নোটিস পাঠানো হয়েছিল।
পুনরায় নতুন করে নির্মাণ কাজ করছে জানতে পেরেই বন্ধ করার জন্যে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এরপরও কাজ করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Advertisement

এদিকে, তাজপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামল দাস বলেন, “অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে সংগঠন সবসময় কাজ করে। অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে আমরা বারবার প্রশাসনিক স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই আমরাও অভিযোগ করা বন্ধ করে দিয়েছি। অবৈধ নির্মাণ দেখার কাজ প্রশাসনের, আমাদের নয়। প্রশাসন তদন্ত করে দেখে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক, সেটা আমরাও চাই।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement