ফাইল ছবি।
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: দুর্নীতির আঁতুড়ঘর সেই উত্তর দিনাজপুর। ট্যাব কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহে এবার ইসলামপুর থেকে গ্রেপ্তার বছর তিরিশের যুবক। তাকে সোমবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করেছে মালদহ জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হবে সাবির আলম নামে ওই যুবককে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাবির স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে আধার কার্ড সংগ্রহ করত। আর তা দিয়েই দুর্নীতির জাল বিছিয়েছিল সে। তাকে জেরা করে গোটা চক্রের হদিশ খুঁজছে পুলিশ।
রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ট্যাব কেনার টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা পড়ুয়াদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। কিন্তু টাকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়েই দুর্নীতি সামনে এসেছে সম্প্রতি। নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা যায়নি। বদলে অন্য অ্যাকাউন্টে তা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এহেন দুর্নীতির নেপথ্যে বহু বড় মাথা রয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। পড়ুয়াদের জন্য কল্যাণকর প্রকল্পের নামেও আর্থিক কেলেঙ্কারির কিনারা দ্রুত করতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠিত হয়েছে।
দেখা যাচ্ছে, এই দুর্নীতির আঁতুড়ঘর উত্তর দিনাজপুর। এই জেলায় যেমন টাকা নয়ছয় হয়েছে, তেমন পুলিশের হাতে ধৃতরাও বেশিরভাগ এখানকার বাসিন্দা। এবার মালদহ জেলা পুলিশের জালে ধরা পড়ল ইসলামপুরের ডিমরুল্লা গ্রামে সাবির আলম। জানা যাচ্ছে, আলডিমটিখন্তি পঞ্চায়েতের ডিমরুল্লার কাজি বস্তিতে বাড়ি সাবিরের। বছর তিরিশের যুবক ধান কেনাবেচা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কৃষি মান্ডিতে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করে। সেইসঙ্গে বেশি টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন সাধারণ কৃষকদের কাছ থেকে আধার কার্ড সংগ্রহ করে বিভিন্ন উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। সোমবার রাতে ইসলামপুরের বাড়ি থেকে মালদহের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃতের বাবা জাহিরুদ্দিন আহমেদ পেশায় কৃষক মঙ্গলবার বলেন, “আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।” তবে পুলিশের অনুমান, সাবির যথেষ্ট ধুরন্ধর এবং দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে ভালোভাবে যুক্ত। এদিন তাকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.