প্রতীকী ছবি।
অর্ক দে, বর্ধমান: ট্যাব ‘দুর্নীতি’ কাণ্ডে মালদহ থেকে গ্রেপ্তার আরও ৪। ধৃতদের মধ্যে একজন একটি স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক। এদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
ট্যাব দুর্নীতির তদন্তে নেমে সোমবার রাতে মালদহ থেকে হাসেম আলি নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল বর্ধমান পুলিশ। তাঁকে জেরা করেই মালদহ থেকে পিন্টু শেখ, জামাল শেখ, শ্রবণ সরকার এবং রকি শেখ নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, মালদহের ভগবানপুর কেবিএস স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক রকি শেখ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক স্কুলের অ্যাকাউন্টে লগ-ইন ক্রেডেনশিয়াল সরবরাহ করার অভিযোগও রয়েছে। অর্থাৎ অর্থ তছরুপে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রকিকে।
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। অভিযোগ ওঠে, বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে সিএমএস হাই স্কুলের ২৮ জন পড়ুয়ার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্যত্র চলে গিয়েছে। এই বিষয়ে স্কুলের তরফে বর্ধমান সাইবার থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু হয়। সেখানে দেখা যায় স্কুলের পড়ুয়াদের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে ভিন রাজ্যের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার শাখার পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়। এর পর অন্যান্য জেলা থেকেও এক অভিযোগ ওঠে। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নজরে পড়ে বিষয়টি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দ্রুত দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দেন। এর পরই রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে নতুন করে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.