ফাইল ছবি।
অর্ণব দাস, বারাকপুর: কলেরা রুখতে তৎপর প্রশাসন। তবু বেড়েই চলেছে প্রকোপ। কামারহাটি ও পাশের পুর এলাকার ৩৫ ওয়ার্ডে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন পুর-কর্মীরা। শনিবার সেই খোঁজ নিতে গিয়ে আরও কয়েকজনের শরীরে কলেরার উপসর্গের হদিশ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। যা চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই পুরসভার উদ্যোগে অসুস্থদের হাসপাতালে ভরতি করানোরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কামারহাটি ও পাশের পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চলছে। চলছে সচেতনতা বাড়ানোর কাজও। ডায়রিয়ার এই সংক্রমণ এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে খবর। শনিবার নতুন করে ফের ৪৪ জনের মধ্যে কলেরার উপসর্গ দেখা মিলেছে বলে সূত্রের খবর। প্রত্যেকেই তারা কামারহাটির ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অনেককেই ইতিমধ্যে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আবার নতুন করেও অনেকে সংক্রমণ নিয়ে ভরতিও হয়েছেন। বর্তমানে এই হাসপাতালে ১৪৬ জন ভরতি আছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত কলেরার এই পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি চালাবে পুরপ্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ তারিখ কামারহাটি পুরসভা এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপের কথা জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর নমুনা পরীক্ষার করে কলেরার কথা জানা যায়। মূলত কামারহাটি পুরসভার ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাতেই কলেরার প্রকোপ দেখা যায়। প্রকোপ যাতে অন্যান্য ওয়ার্ডে ছড়িয়ে না পড়ে সেই জন্য শুক্রবার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সার্ভের সিদ্ধান্ত নেয় পুর প্রশাসন। বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। হ্যালোজেন ট্যাবলেট, ওআরএস বিলি করা হচ্ছে। পাশাপাশি সাতটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং তিনটি মেডিক্যাল ক্যাম্পে এলাকাবাসীকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এমনকী, ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে পুরসভার পক্ষ থেকে জলের গাড়ি ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিন কামারহাটি পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য বিমল সাহা বলেন, “পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে হাসপাতালে রোগী ভরতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজরদারি রাখা হচ্ছে। সম্পূর্ণ পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করে দেখে আগামী সোমবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.