রাজা দাস, বালুরঘাট: সোয়াইন ফ্লুর আতঙ্কে আবাসন ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন মৃত সরকারি আধিকারিক অনিমেষ মজুমদারের প্রতিবেশী আবাসিকরা। সম্পূর্ণ ফাঁকা হয়ে পরেছে পুরো বিল্ডিংটি। পাশের বিল্ডিংগুলিতে থাকা আবাসিকরাও আতঙ্কিত।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে বালুরঘাট খাদিমপুর সরকারি আবাসনের সি ব্লকটি সম্পূর্ণ ফাঁকা রয়েছে। মৃত অনিমেষবাবুর ঘরের খোলা জানলা দিয়ে নজরে আসছে পরে থাকা আসবাবপত্র। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবাসনের চারদিকে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু তারপরেও চরম আতঙ্ক সরকারি আবাসনের সমস্ত বিল্ডিংয়ে। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী চম্পক গুহ জানান, সোয়াইন ফ্লুতে মারা যাওয়ার পরই ওই ব্লকের অন্যান্য পরিবার অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। ছয়টি কোয়ার্টারের মধ্যে অনিমেষবাবু-সহ চারটি পরিবার থাকত। বর্তমানে বাকি তিনটি পরিবারের কেউ নেই সেখানে। স্থানীয় ব্যবসায়ী বিকাশ দত্ত জানান, সোয়াইন ফ্লুতে মারা যাওয়ার পর অনিমেষবাবুর ওই ব্লকে এখন আর কেউ নেই। আতঙ্কিত হয়ে সব অন্যত্র চলে গিয়েছেন। কেউ অন্য জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়েছেন। কেউ বাড়ি চলে গিয়েছেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, ওই সরকারি আবাসনে নজর রাখা হয়েছে। অন্য কারওর জ্বর বা ওই ধরনের কোন উপসর্গ দেখা যায়নি।
[বৃদ্ধাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিল ‘গুণধর’ নাতি]
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার কলকাতার আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অনিমেষ মজুমদার। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বালুরঘাট ওয়াটার রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। বাড়ি নদিয়ার রানাঘাট এলাকায়। অনিমেষবাবু বালুরঘাট খাদিমপুর এলাকায় সরকারি আবাসনে স্ত্রী-সহ বাবা মাকে নিয়ে থাকতেন। গত কয়েকদিন থেকে জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন অনিমেষবাবু। অবশেষে চলতি মাসের ৫ ডিসেম্বর বুধবার কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রুবি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর বিষয়টি সামনে আসে। সঙ্গে সঙ্গেই ওই দিনই কলকাতা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অনিমেষবাবুকে। গত মঙ্গলবার তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.