আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: বাঙালি রসনাপ্রিয়৷ রসাস্বাদনে তার উদ্ভাবনীর শেষ নেই৷ আবার বাঙালি রাজনীতিপ্রিয়, তর্কপ্রিয়ও৷ ভাবছেন রসনার সঙ্গে রাজনীতির কী সম্পর্ক? আছে,আছে৷ ভোটের মরশুমে চায়ের টেবিলে রাজনৈতিক তর্কবিতর্কের প্রবল ঝড়ঝাপটা সামলে দিতে পারে একমাত্র মিষ্টি৷ তাও আবার তা যদি হয় পছন্দের দলের৷ ঘাবড়াবেন না৷ সোদপুরের এক নামী মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক চিহ্ন দিয়ে তৈরি করেছে ক্ষীরের মিষ্টি৷ আর নির্বাচনী আবহে তা বিকোচ্ছেও দেদার৷
সোদপুরের ট্রাফিক মোড়ের শিবানী সুইটস৷ ভোটের মরশুমই হোক কিংবা বিশ্বকাপ , চলতি হাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিষ্টি তৈরি করে থাকেন এখানকার কর্মীরা৷ এই যেমন পদ্মফুল আকারের বিরাট সন্দেশ কিংবা মিষ্টিতে হাতের ছাপ৷ আর যেই না দোকানের শোকেসে এসব দেখছেন রসনাপ্রিয় বাঙালি, অমনি দোকানে ঢুকে তা কেনা চাইই চাই৷ আপনি বিজেপি সমর্থক হোন বা কংগ্রেস, তৃণমূল হোন বা সিপিএম, নিজের পছন্দের দলের মিষ্টিটি ঠিক হাতের নাগালে পাবেনই পাবেন৷ তবে রেস্ত কিঞ্চিৎ বেশি৷ পদ্ম আঁকা সন্দেশ কিংবা কাস্তে-হাতুড়ি-তারা খচিত মিষ্টি, একেকটার দাম পড়বে কম করে ৭০ টাকা৷ মিষ্টির আকার যত বড় হবে, ততই দাম বাড়বে৷ সেই দাম ৭০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে৷
গত বছর বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন বিভিন্ন দেশের পতাকার রং, জার্সি দিয়ে তৈরি হয়েছিল রকমারি মিষ্টি৷ তাও একেবারে হু হু করে বিক্রি হয়েছিল৷ এমনকী, ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে বাড়তি মিষ্টিও তৈরি করতে হিমশিম দশা হয়েছিল কর্মীদের৷ রোনাল্ডো, মেসিদের চাহিদা ছিল তুঙ্গে৷ আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি, স্পেনের সমর্থকদের ভিড় বেড়েই চলেছিল দোকানে৷ এবারও সেই একই ছবি৷ যে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীকেই পাবেন মিষ্টি৷ তাহলে আর কী? প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিতর্ক করতে গিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলেই, তাঁকে নিয়ে যান শিবানী সুইটসে৷ খাইয়ে দিন তাঁর পছন্দের দলের চিহ্ন-সহ একটা গোটা সন্দেশ৷ মনোমালিন্য মিটিয়ে ফের বন্ধুত্বে মাততে এ মিষ্টির জুড়ি নেই৷ তাই ভোট উৎসবের মরশুমে রাজনৈতিক তর্কও চলুক, চলুক মিষ্টিমুখও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.