সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বর্ধমান স্টেশনের একাংশ ভেঙে পড়ার খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বর্ধমান স্টেশনে ছুটে গিয়েছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তারপর টানা ১২ ঘণ্টা বর্ধমান স্টেশন চত্বরেই কাটিয়ে দিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী মন্ত্রী। উদ্ধার কাজের তদারকি থেকে আর্তদের চিকিৎসার ঘনঘন খোঁজখবর নিলেন তিনি। ছুটে যান বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও।
সেখানেই ভরতি হয়েছিলেন বর্ধমান স্টেশনের দুর্ঘটনায় জখম হোপনা টুডু-সহ আরও একজন। তাঁদের খোঁজ খবর নেন তিনি। রাতেই মৃত্যু হয় একজনের। এরপর ফের বর্ধমান স্টেশন চত্বরেই ফিরে আসেন তিনি। স্বপনবাবু বলেন, “এই দুর্ঘটনায় খবর পেয়েই মমতাদি আমাকে ফোন করে নির্দেশ দেয় স্টেশন চত্বরে আসার। মানুষের পাশে থাকার। সেই নির্দেশ মত এসে আর্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। কারও যাতে কোনওরকম সমস্যা না হায় তা দেখছি।”
শুধু স্বপনবাবুই নন, জেলা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দুর্ঘটনার পর। প্রথমবার ভবনের একাংশ ধসে পড়ার খবর পেয়েই স্টেশন চত্বরে হাজির হন জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দেবু টুডু। তিনি আসার পরই আরও দু’বার ধস নামে। দেবু টুডু বলেন, “এমন বিপদের সময় মানুষের পাশে থাকতে আসা এখানে।” এর কিছুপরেই ঘটনাস্থলে আসেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী, অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগী-সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক। এরপর যান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া।
জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত, জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দও ছুটে আসেন। রাতভর তাঁরা কাটিয়েছেন বর্ধমান স্টেশন চত্বরে। ভোরের দিকে নেতারা প্রায় সকলেই ফিরে গেলেও থেকে যান স্বপনবাবু ও উজ্জ্বলবাবু। রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ তাঁরা ঘটনাস্থল ছাড়েন। ততক্ষণে ধ্বংসস্তূপ সরানো কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.