সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে পেট্রাপোল সীমান্তে বিক্ষোভ। সোমবার সন্ন্যাসীদের কর্মসূচিতে শামিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। জমায়েত থেকেই ওপারের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে হুঁশিয়ারিও দিলেন বিজেপি নেতা। সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ করলেই বাংলাদেশের টনক নড়বে বলে মত তাঁর।
সনাতনী হিন্দু সংগঠনের ডাকে এদিন দুপুরে পেট্রাপোল সীমান্তের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকে হিন্দুদের জোট বাঁধার ডাক দেন তিনি। এর পর হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে জিরো পয়েন্টের দিকে পদযাত্রা করেন। সেখানে কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান। তার পর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাস ধরে অভিবাসন কেন্দ্রের দিকে রওনা দেন। সকাল থেকেই এই চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন প্রচুর মানুষ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। হাতও মেলান। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, “হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করেছে। এরা কোনও বিজেপি নয়, হিন্দুরা জোট বাঁধছে। সকাল ছটা থেকে সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ।” শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “একদিনেই টাইট হয়ে গিয়েছে। নতুন রাজাকারদের আত্মসমর্পণ করাবে ভারত। পাকিস্তানের মতো অবস্থা করে দেবে।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়েছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখেন। প্রয়োজনে সে দেশে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর মতো একাধিক প্রস্তাব দিয়েছেন। আবার বাংলার বিরোধী দলনেতা তথা বঙ্গ বিজেপির অন্যতম মুখ শুভেন্দু অধিকারী সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে সুর চড়িয়েছেন।
বর্তমানে কেন্দ্রে হিন্দুত্বের জয়গান গাওয়া জাতীয়তাবাদী সরকার থাকলেও এখনও পর্যন্ত তাদের কড়া পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। কূটনৈতিক মহল বলছে, চাইলেই পড়শি দেশের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির হুঁশিয়ারি দিতে পারত নয়াদিল্লি। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে কূটনৈতিক মারপ্যাঁচে ফেলত পারত ইউনুস সরকারকে। নিদেনপক্ষে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের তলব করে কড়া বার্তা দিতে পারত। কিন্তু সেরকম কোনও পদক্ষেপই করতে দেখা যায়নি মোদি সরকারকে। এমনকী, সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চললেও সংসদে প্রধানমন্ত্রী বা বিদেশমন্ত্রী কোনও বিবৃতি দেয়নি। ফলে পুরো পরিস্থিতি নিয়ে মোদি সরকারের অবস্থান কী, তা এখনও ধোঁয়াশায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.