Advertisement
Advertisement

নন্দীগ্রামে সংবর্ধনায় ভাসলেন শুভেন্দু

নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে বিনা খরচে মানুষ পাবেন অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা, শববাহী গাড়ি এবং পানীয় জলের সুবিধা৷ এখানেই শেষ নয়, ভোটের প্রচারে বিভিন্ন সভায় শুভেন্দুবাবু যে সব কাজের অঙ্গীকার করেছেন, জয়ী হওয়ার পর সেই সব কাজ বাস্তবায়িত করার কথা জানিয়ে দেন এদিন৷ তিনি বলেন, "সাংসদ পদ ছেড়ে আপনাদের দুয়ারে এসেছি৷ মন্ত্রিসভায় গিয়েছি৷ এই সম্মান ব্যক্তি শুভেন্দুর নয়, সমগ্র নন্দীগ্রামবাসীর প্রাপ্ত সম্মান৷ ভোটের আগে যে কাজের কথা বলেছি, তার বিচ্যুতি হবে না৷ যেদিন বিচ্যুতি ঘটবে, সেদিন সরিয়ে দেবেন৷ গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে৷ মানুষ যা চায় না, তা করা উচিত নয়৷"

 Suvendu Adhikari gets praise of common people of Nandigram
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 30, 2016 12:08 pm
  • Updated:May 30, 2016 12:08 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা: লাগাতার উন্নয়ন, জনপরিষেবা দেওয়ার কাজে বিশেষ জোর দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক, তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী৷ চালু করতে চলেছেন জনতার দরবার৷ মাসে দুই বার নন্দীগ্রামে বিধায়ক কার্যালয়ে সেই দরবার বসবে৷ তিনি সরাসরি মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনবেন৷ মানুষ পাবেন বিধায়কের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা, পরিষেবা৷ মন্ত্রী হওয়ার পর রবিবার প্রথম নন্দীগ্রামে সংবর্ধনাসভায় যোগ দিয়ে এমন ভবিষ্যত্‍ কর্মসূচির রূপরেখা বেঁধে দিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী৷ নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ডগলাস মাঠে আয়োজিত ভিড়ে ঠাসা সভা৷ দলীয় কর্মী, সমর্থকদের পাশাপাশি শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র-যুব, শিক্ষক, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে নন্দীগ্রামে উৎসবের মেজাজ ধরা পড়েছে৷ সোনাচূড়া, চৌরঙ্গী, হরিপুর, দাউদপুর, গড়চক্রবেড়িয়া, কালিচরণপুর, হাজরাকাটা, তেখালি, মহেশপুর, কাঞ্চননগর-সমস্ত জায়গা থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল এসে এই উত্সব প্রাঙ্গণে জনজোয়ার ঘটিয়েছে৷
মাইক, বাজনা, আতসবাজি, আবির আর শুভেন্দু নামে উদ্বাহু নৃত্য রবিবারের সকাল আনন্দে উদ্বেলিত নন্দীগ্রাম৷ সেই নন্দীগ্রামকে নিজের উন্নয়ন ভাবনার সেরাটুকু নিংড়ে দিতে তৎপর শুভেন্দু৷ তাই এদিনের সভায় পরিষেবা দানের কথা তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন৷ নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে বিনা খরচে মানুষ পাবেন অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা, শববাহী গাড়ি এবং পানীয় জলের সুবিধা৷ এখানেই শেষ নয়, ভোটের প্রচারে বিভিন্ন সভায় শুভেন্দুবাবু যে সব কাজের অঙ্গীকার করেছেন, জয়ী হওয়ার পর সেই সব কাজ বাস্তবায়িত করার কথা জানিয়ে দেন এদিন৷ তিনি বলেন, “সাংসদ পদ ছেড়ে আপনাদের দুয়ারে এসেছি৷ মন্ত্রিসভায় গিয়েছি৷ এই সম্মান ব্যক্তি শুভেন্দুর নয়, সমগ্র নন্দীগ্রামবাসীর প্রাপ্ত সম্মান৷ ভোটের আগে যে কাজের কথা বলেছি, তার বিচ্যুতি হবে না৷ যেদিন বিচ্যুতি ঘটবে, সেদিন সরিয়ে দেবেন৷ গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে৷ মানুষ যা চায় না, তা করা উচিত নয়৷”
ইতিমধ্যে এলাকার ক্লাব, মাদ্রাসাগুলির উন্নয়নসংক্রান্ত কিছু প্রস্তাব তাঁর কাছে জমা পড়েছে৷ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয় উদয়ন ক্লাবের সম্পাদক বিক্রমাদিত্য ত্রিপাঠী এলাকার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চার প্রয়োজনে পরিকাঠামো তৈরির দাবি তুলেছেন৷ স্থানীয় যুবক বিশ্বনাথ পানিগ্রাহী বলেন, এলাকায় উন্নতমানের একটি অডিটোরিয়াম চাই৷ স্থানীয় গদাই বলবাড় গ্রামের যুবক শম্ভু ভুঁইয়া নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড উন্নত করার দাবি তুলেছেন৷ তপন মহাপাত্র, আবু হোসেন, রঞ্জন চৌধুরিদের মতো এলাকাবাসী পানীয় জল, সুষ্ঠ বিদ্যুত্‍ পরিষেবার দাবি করেছেন৷ স্থানীয় শিক্ষক বাপ্পাদিত্য মাইতি হলদি নদীর উপর হলদিয়া-নন্দীগ্রাম সেতু তৈরির দাবি তুলেছেন৷ শরবেড়িয়া গ্রামের ভূমিহীন কৃষক ইলিয়াস খাঁন একটুকু ছাদ চেয়েছেন মাথার উপর৷ এলাকার বিধায়ক কিংবা রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবে নয়, মানুষের সহযোগী, বন্ধু হিসাবে মানুষের কাজ করে যেতে চেয়েছেন শুভেন্দু৷ আর সে ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা, শান্তি, সংহতি একান্ত জরুরি৷ সেই মানবিক আবেদনও উঠে এসেছে নন্দীগ্রামের ঘরের ছেলের মুখে৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement