ধীমান রায় ও সৌরভ মাজি: দলবদলের পর প্রথম সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বললেন, “বিজেপির আশ্রয় না পেলে উঠে যেত তৃণমূল।” ‘ভাইপো’ সম্বোধন করে তীব্র কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের উত্তর পূর্বস্থলী বিধানসভা কেন্দ্রে ছাদনিতে একটা সভার আয়োজন করে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের কর্মী হিসেবে সেখানে যোগদান করেন প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য নেতারাও। সেই সভা থেকেই তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান শুভেন্দু। বলেন, “নিজের দমে মুখ্যমন্ত্রী হলে ২০০১ সালেই হতেন। আমি বলব না আমার কথা, কিন্তু নন্দীগ্রামের এতগুলো মানুষ অনেক কিছু দেখেছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বিধানসভা ভোট, পঞ্চায়েত নির্বাচন ও তারপর লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কারা ছিল? সেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিতেন, লালকৃষ্ণ আদবানি আশ্রয় না দিতেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস ২০০১ সালে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেত।” এরপর পরু পাচার, কয়লা পাচার ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) একহাত নেন তিনি। ফের ‘তোলাবাজ ভাইপো হটাও’ স্লোগান তুলে শুভেন্দু বলেন, “একুশে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে এবার শুধু কিডনি পাচার বাকি।” এদিন ‘বিশ্বাসঘাতক’ মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাসঘাতক নই, মীরজাফর নই। যার আত্মসম্মান আছে তিনি ওই দলটা করতে পারবেন না। ওটা একটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।”
এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমার সঙ্গে একাধিকবার অমিতজি, দিলীপ দার মতো নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি কোনও শর্ত রাখিনি। শুধু বলেছি, তোলাবাজ ভাইপো হটাতেই হবে।” এদিন ফের তিনি বলেন, দলের সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। কারণ, পরিবর্তনের পরিবর্তন করতেই হবে। এদিনের সভায় দাঁড়িয়েই শুভেন্দুর ‘ওপেনিং ব্যাটের প্রশংসা করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আক্রমণ করেন রাজ্যকে, মুখ্যমন্ত্রীকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.