আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: নৃশংস বললেও একে কম বলা হবে বোধহয়। পরপুরুষে আসক্ত স্ত্রী, শুধুমাত্র এই সন্দেহে তাঁর মাথা থেঁতলে খুন করল মদ্যপ স্বামী। লোহার রড দিয়ে স্ত্রীয়ের মাথা ফাটিয়ে দিল অভিযুক্ত। গলগল করে রক্ত বেরোতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জঘন্য এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে খড়দহ থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচ্চা লাইন এলাকায়। ৩০ বছরের গৃহবধূ ঊর্মিলা রাজভরকে মাথায় রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ তাঁর স্বামী জিতেন্দ্র রাজভরের বিরুদ্ধে। জিতেন্দ্র সন্দেহ করত, অন্য পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে ঊর্মিলাদেবীর। সে কাজে বেরোলেই নাকি বাড়িতে অন্য পুরুষ ঢুকত। যদিও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এই অভিযোগের সত্যতা মানতে চাননি। বরং তাঁদের অভিযোগ, জিতেন্দ্রই দিনরাত নেশা করে পড়ে থাকত। শেষর দিকে কোনও কাজও করত না। স্ত্রীকে সবসময় নজরে নজরে রাখত। মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল যেন। খাবার নয়, স্ত্রীয়ের কাছ থেকে চাইত শুধু মদের টাকা। না দিলেই স্ত্রীয়ের উপর উপর চালাত অত্যাচার। এমনকী মারধরও করত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বুধবার রাতে নেশার টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা চরমে ওঠে। তারপরই, জিতেন্দ্র মদ্যপ অবস্থায় একটি লোহার রড দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে ঊর্মিলাকে। প্রবল রক্তপাত হতে দেখে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে খড়দহের বলরাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ঊর্মিলাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত জিতেন্দ্র। ঘটনাস্থলে খড়দহ থানার পুলিশ। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনায়। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।
চিত্র প্রতীকী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.