Advertisement
Advertisement

Breaking News

Vickey Jadav

শুটআউটে নিহত ভিকি যাদবের ‘ঘনিষ্ঠে’র রহস্যমৃত্যু, ‘আমি খুনে যুক্ত নই’, উদ্ধার সুইসাইড নোট

বাড়ি থেকে ভিকি 'ঘনিষ্ঠে'র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।

Suspicious death of Bhatpara's TMC worker Vickey Jadav's 'aide' । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 25, 2023 10:22 am
  • Updated:November 25, 2023 12:28 pm

অর্ণব দাস, বারাকপুর: ধরপাকড়ের মাঝেই ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। তৃণমূল কর্মীর ‘ঘনিষ্ঠে’র রহস্যমৃত্যু। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বছর বাইশের ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছে পুলিশ। সেটির সূত্র ধরে শুরু তদন্ত।

মৃত বছর বাইশের হরেরাম সাউ। তিনি নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকির ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিকির খুনের ঘটনার পর বারবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল ওই হরেরামকে। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement
Hare-Ram-Shaw
ভিকি যাদব ‘ঘনিষ্ঠ’ হরেরাম সাউ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, “আমি ভিকি যাদব খুনের ব্যাপারে কিছুই জানি না। তোমাদের যদি মনে হয় আমি ভিকির খুনে যুক্ত তো ঠিক আছে, আমি ভিকি ভাইয়ার কাছেই যাচ্ছি। এই ঘটনার সঙ্গে আমি এবং আমার পরিবারের কেউই যুক্ত নয়। আমি তোমাকে মিস করছি ভিকি ভাইয়া। আমি আকাশ ভাইয়াকেও মিস করছি। আমিও তোমাদের কাছেই যাচ্ছি। ছোটু আমাকে তুই ভুল বুঝিস না। ছোটু আমার মাকে দেখিস।” সুইসাইড নোটের হাতের লেখা এবং বয়ান যাচাই করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement
Suicide Note
হরেরাম সাউয়ের বাড়ি থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ‘ভোটার তালিকায় নাম তুলুন রাজ্যে থাকা বাংলাদেশিরা’, বারাসতের তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক]

উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় জগদ্দল থানার ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরানি তালাব সংলগ্ন এলাকায় শুটআউটের ঘটনা ঘটে। নিজের বাড়ির সামনেই ঝাঁজরা হয়ে যান তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব। এই ঘটনার তদন্তে বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (নর্থ) শ্রীহরি পাণ্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম তৈরি করা হয়। একাধিক এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।

Police arrests two person in Bhatpara's TMC worker Vickey Yadav murder case

তদন্তকারীরা জানতে পারেন, চারজন ভাড়াটে খুনি এসেছিল। তারা প্রথমে মেঘনা মিল সংলগ্ন একটি ফাঁকা কোয়ার্টারে এসে ওঠে। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর তাদের মধ্যে তিনজন বাইকে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকিকে খুন করে। দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় সেভেন এমএম এবং নাইন এমএম দুই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও জানতে পারে পুলিশ। ধরপাকড়ের মাঝে হরেরাম সাউয়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

[আরও পড়ুন: ফের বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পথেই হাঁটলেন বিচারপতি সিনহা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ