সৌরভ মাজি, বর্ধমান: জুনিয়র চিকিৎসকের (Junior Doctor) রহস্যমৃত্যু। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বয়েজ হস্টেলের তিনতলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। মৃতের বাবার অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মোবারক হোসেন পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা। তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই (Burdwan Medical College & Hospital) পড়াশোনা করেছিলেন। ইন্টার্নশিপ শেষে আগামী ১৬ আগস্ট থেকে সার্জারি বিভাগের হাউস স্টাফ হিসাবে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে তার আগেই সব শেষ। মঙ্গলবার রাত ২টো ১৫ নাগাদ আচমকা কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পান বয়েজ হস্টেলের আবাসিকরা। তড়িঘড়ি করিডরে চলে আসেন তাঁরা। দেখেন নিচে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন একজন। কাছে যাওয়ার পর শেখ মোবারককে চিনতে পারেন সকলে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করা হয়। শুরু হয় চিকিৎসা। ঘণ্টাদুয়েক ধরে চেষ্টা চললেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় মোবারক হোসেনের।
এদিকে, ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক শুনেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দৌড়ে আসেন জুনিয়র চিকিৎসকের বাবা। তিনি এসে ছেলে মৃত্যু সংবাদ পান। তাঁর অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়। খুন করা হয়েছে মোবারককে। তবে কি কারণে খুন করা হল তাঁকে, কারাই বা এই ঘটনায় জড়িত, সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি তিনি। তবে নিহতের বাবা জানান, ওই জুনিয়র চিকিৎসক সম্প্রতি কোনও এক তরুণীর সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে সে বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। যদিও এ ব্যাপারে ছেলের সঙ্গে তাঁর তেমন কথা হয়নি বলেও জানান জুনিয়র চিকিৎসকের বাবা। বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আত্মহত্যা নাকি খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মৃত্যুর নেপথ্যে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.