ছবি: প্রতীকী।
নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: রাতভর নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার৷ বৃহ্স্পতিবার সকালে নদিয়ার হরনগর পঞ্চায়েতের বান্দারখোলায় বাড়ির কাছ থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর দেহ৷ খুন নাকি আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্র সে বিষয়ে এখনও কিছুই জানা যায়নি৷ মৃত্যুর কারণ নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা৷ এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকারই এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ঘটনার সূত্রের খোঁজে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷
নিহত হুমায়ুন কবির, পলাশি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র৷ বুধবার সন্ধেয় বাড়িতে বসে খাচ্ছিলেন হুমায়ুন৷ আচমকাই তাঁর মোবাইল বেজে ওঠে৷ ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলেন হুমায়ুন৷ এরপর খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই কলেজ ছাত্র৷ রাত বাড়লে বাড়ি থেকে ফোন করা হয় হুমায়ুনকে৷ কিন্তু হুমায়ুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি৷ বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর শুরু হয়৷ তাতেও খুঁজে পাওয়া যায়নি হুমায়ুনকে৷ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় একটি গাছে হুমায়ুনের দেহ ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা৷ লোক মুখে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রের দেহ উদ্ধারের কথা৷ খবর দেওয়া হয় নাকাশিপাড়া থানাতেও৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হুমায়ুনের দেহ উদ্ধার করে৷ হুমায়ুনের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ মৃত ছাত্রের পরিজনদের অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে হুমায়ুনকে৷ এই ঘটনার সঙ্গে রমজান নামে এক যুবক এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলেই দাবি তাঁদের৷ বছর আঠাশের রমজান শেখ ওই এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা৷ আগে হুমায়ুনের সঙ্গেই পড়াশোনা করত৷ বর্তমানে এলাকার একটি চায়ের দোকান চালায় রমজান৷ নিহতের পরিজনদের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ রমজানকে গ্রেপ্তার করেছে৷
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুনের পরই কলেজ ছাত্রের দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার আগে কলেজ ছাত্রের কীভাবে মৃত্যু হল, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না তদন্তকারীরা৷ কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়েও কোনও সুস্পষ্ট তথ্য এখনও পর্যন্ত হাতে আসেনি পুলিশের৷ রমজানকে জেরা করে ঘটনার কিনারা হতে পারে বলেই আশা তদন্তকারীদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.