Advertisement
Advertisement
জুটমিল বন্ধ

আলোর উৎসবে আঁধার নামল জগদ্দলের জুটমিলে, কর্মহীন ৪০০০ শ্রমিক

রবিবার সকালে জগদ্দলের জেজেআই জুটমিলে পড়ল সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস।

Suspension of work notice seen in front Jagaddal's JJI mill,4000 become workless
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 27, 2019 6:10 pm
  • Updated:October 27, 2019 6:10 pm  

আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: দীপাবলিতে আঁধারে ডুবল রাজ্যের আরও একটি জুটমিল। রবিবার সকালেই জগদ্দলের জেজেআই জুটমিলের দরজায় পড়ল সাসপেনশন অফ ওয়ার্কে নোটিস। কাজ হারালেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক। আলোর উৎসব কার্যত ম্লান হয়ে গেল এখানে।
বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মধ্যে জগদ্দলের জেজেআই জুটমিল। রাজ্যের আর পাঁচটা চটকলের মতো নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে চলছিল এই মিলটিও। কখনও শ্রমিকদের মজুরিবৃদ্ধির দাবি, কখনও বা শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে বারবারই এখানে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তবু এসব প্রতিকূলতা কাটিয়েই চটলকলের কাজ চলেছে।

[আরও পড়ুন: আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, কালো পতাকা দেখিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তৃণমূলের]

সম্প্রতি শ্রমিকদের পিএফ এবং গ্র্যাচুইটি দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। তার প্রতিবাদে নামে স্থায়ী, অস্থায়ী শ্রমিকদের একাংশ। শনিবার প্রতিবাদ স্বরূপ কাজও বন্ধ রাখেন তাঁরা। কিন্তু পরেরদিন, রবিবার কাজে যোগ দিতে এসে যে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে, ভাবেননি কেউই। এদিন সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা দেখেন, গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তা দেখেই কার্যত মাথায় হাত পড়ে তাঁদের। এক নোটিসেই স্থায়ী, অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় হাজার চারেক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়লেন।

Advertisement

মিল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, শনিবার অধিকাংশ শ্রমিক হাজির না হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই মিল বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। আরেকদিকে, শ্রমিকদের অভিযোগ, দিনের পর দিন কাজের চাপ বাড়ছিল কারখানায়। কিন্তু কারও স্থায়ীকরণ হচ্ছে না। তাই তাদের পক্ষে সেই বাড়তি নেওয়া অনেক সময়েই সম্ভব হচ্ছে না। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি সাময়িক বন্ধ হওয়ার নোটিসমাত্র। স্থায়ীভাবে কারখানা বন্ধ হচ্ছে না। কিন্তু শ্রমিকরা তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না মোটেই। বহু অভিজ্ঞতা থেকে তাঁদের ধারণা, এই নোটিসই অশনি সংকেত। কাজ হারাতেই হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: কালীপুজোয় চাঁদার জুলুম, টানা ৩ ঘণ্টা হাসপাতালেই আটকে চিকিৎসকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement