নন্দন দত্ত, সিউড়ি: একজন কনস্টেবল৷ আর একজন মহিলা হোমগার্ড৷ কাজের সূত্রেই দু’জনের ঘনিষ্ঠতা৷ এক আত্মীয়কে পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে কনস্টেবল টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ৷ মহিলা হোমগার্ডের দাবি, টাকা নিলেও, চাকরি করে দিতে পারেননি তিনি৷ উলটে টাকা চাইতে গেলে অভিযুক্ত ও তাঁর স্ত্রী বেধড়ক মারধর করেছেন৷ হাসপাতালে ভরতি ওই মহিলা হোমগার্ড৷ শুধু তাই নয়, ভয় দেখিয়ে তাঁকে শারীরিক সম্পর্কে স্থাপনে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ ঘটনাস্থল বীরভূম সিউড়ি৷ এখনও পর্যন্ত থানায় অবশ্য লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি৷
[মায়ের কাপড় নিয়ে খেলতে খেলতে গলায় ফাঁস, মৃত্যু শিশুকন্যার]
অভিযোগকারী ও আক্রান্ত দু’জনেই সিউড়ি থানায় কর্মরত৷ মহিলা হোমগার্ডের দাবি, সিউড়ি থানায় চাকরি করতে গিয়েই অভিযুক্ত কনস্টেবলের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর৷ কিন্তু, ওই কনস্টেবল যে বিবাহিত, সেকথা জানতেন না তিনি৷ ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে৷ লজে গিয়ে একসঙ্গে সময়ও কাটিয়েছেন তাঁরা৷ সেখানে বান্ধবীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন অভিযুক্ত কনস্টেবল৷ আক্রান্তের অভিযোগ, সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার দিতেন তিনি৷ বলতেন, তাঁর শারীরিক সম্পর্ক না রাখলে, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার ছড়িয়ে দেবেন৷ এভাবেই চলছিল৷ এরপর এক আত্মীয়কে পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ওই মহিলার কাছ থেকে অভিযুক্ত টাকা নেন বলে অভিযোগ৷
বীরভূমের সিউড়ি থানার ওই মহিলা হোমগার্ডের দাবি, টাকা নিয়েও চাকরি করে দিতে পারেননি অভিযুক্ত কনস্টেবল৷ সোমবার সন্ধ্যায় যখন টাকা চাইতে অভিযুক্তের বাড়িতে যান, তখন তিনি ও তাঁর স্ত্রী বেধড়ক মারধর করেন৷ এমনকী, ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের কথাও ওই কনস্টেবল অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ৷ গুরুতর জখম ওই মহিলা হোমগার্ড এখন ভরতি সিউড়ি হাসপাতালে৷ এই ঘটনায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি৷ তবে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
ছবি: বাসুদেব ঘোষ
[‘যাবেন না স্যর’, থানার বড়বাবুর পথ আটকে গোটা গ্রাম]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.