রঞ্জন মহাপাত্র ও অভিষেক চৌধুরী: পঞ্চায়েত ভোটের আগে কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে রাজ্যে এসেছেন তিনি। অথচ সেই জে পি নাড্ডার (J P Nadda) জনসভার মাঠই ভরল না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পূর্বস্থলীতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির জনসভায় আসেননি বিজেপির (BJP) অধিকাংশ কর্মী-সমর্থক। কার্যত পূর্বস্থলী থানার ফাঁকা ময়দানেই এই জনসভা করতে হচ্ছে তাঁকে। একই দশা পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরেও। মাঠ ফাঁকা রেখেই সভা করলেন তিনি। পূর্বস্থলীর মতো নির্ধারিত সময় থেকে অনেকটা পরে মঞ্চে ওঠেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
এদিকে জনসভা ফাঁকা থাকার জন্য জেলার ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা। কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন বিজেপির জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই পুরনো কর্মী-সমর্থকদের সেইভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। উল্লেখযোগ্য কোনও কর্মসূচিতেই বিজেপি নেতৃত্বকে লড়াইয়ের ময়দানে দেখা যায়নি।
সকাল ১১টায় জনসভার মঞ্চে জেপি নাড্ডার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দেড় ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি উপস্থিত হননি। মনে করা হচ্ছে কর্মী সমর্থকরা সেভাবে উপস্থিতি না থাকায় নির্ধারিত সময় মঞ্চে ওঠেননি তিনি। বেলা পৌনে একটা নাগাদ পূর্বস্থলীতে পৌঁছন তিনি। দুপুর ১টা ২ মিনিটে মঞ্চে ওঠেন।
কাঁথিতে দুপুর ৩টেয় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় ৩টে ৪৮ মিনিটে। যদিও রাজ্য় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ১০৩ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে সভা করছেন নাড্ডা।
প্রসঙ্গত, এক মাসের ব্যবধানে শনিবার সন্ধেয় ফের রাজ্যে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, দলের নিচুতলায় সাংগঠনিক অবস্থা খুব খারাপ। অধিকাংশ বুথে কমিটি গড়া সম্ভব হয়নি। সভার মাঠের ছবি আরও একবার প্রমাণ করে দিল নিচুস্তরে বঙ্গ বিজেপির বেহাল দশা কতটা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.