Advertisement
Advertisement

Breaking News

মৎস্যজীবী

বুলবুলের পর আমফানের দাপটেও ভাঙল বাড়ি, মাথায় হাত অসহায় মৎস্যজীবীর

ভাঙা বাড়ি দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না তিনি।

Super cyclone Amphan is caused to damaged a house in Bakkhali
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 20, 2020 5:37 pm
  • Updated:May 20, 2020 5:37 pm  

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বুলবুল কেড়ে নিয়েছিল মাথা গোঁজার ঠাঁই। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ভেঙে গিয়েছিল বাড়ি। কঠিন পরিস্থিতিতেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বকখালির মৎস্যজীবী সমীর। বুলবুলের টাটকা ক্ষত বুকে নিয়েও স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। ফের বাংলায় আমফানের হানা। এবারও প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কাড়ল আশ্রয়স্থল। চোখের সামনে কষ্ট করে তৈরি করা বাড়ি ভেঙে পড়ায় চোখের জলে ভাসছেন সমীর। বৃদ্ধা মাকে নিয়ে কোথায় গিয়ে আশ্রয় পাবেন, তা ভেবেই দিশাহারা তিনি।

উপার্জন সামান্য। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসার। কোনওদিন পেট ভরে তো কোনওদিন না। লক্ষ্য একটাই মাথা গোঁজার মতো একটি বাড়ি তৈরি করতে হবে। সেই অনুযায়ী খুব কষ্ট করে ছোট্ট ঘর বানিয়েছিলেন মৎস্যজীবী সমীর। কিন্তু অদৃষ্টের কি করুণ পরিহাস! গত বছরের নভেম্বরে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ভেঙে গিয়েছে সাধের বাড়ি। বুলবুলের কারণে বেশ কয়েকদিন উপার্জনও ছিল বন্ধ। মন ভেঙে গিয়েছিল পিতৃহারা সমীরের। কিন্তু বিধবা মায়ের মুখ চেয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। সামান্য উপার্জনের টাকা থেকে অল্প অল্প করে বাঁচিয়ে আবার গড়ে তুলেছিলেন সাধের বাড়ি। দিব্যি মা-ছেলে মিলে চলে যাচ্ছিল সংসার। কিন্তু সমীর বলছেন, “তাঁর কপালে সুখ সহ্য হয় না।” তাই তো আবারও তাঁদের জীবনে প্রভাব ফেলতে ধেয়ে এল আমফান। বুধবার দুপুরের প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে ফের ভাঙল তাঁদের বাড়ি। চোখের সামনে উড়ে গেল বাড়ির চাল। কষ্ট করে তৈরি করা বাড়ির ক্ষতি যেন সহ্য করতে পারছেন না সমীর। ভাঙা বাড়ি দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে মিলছে না পর্যাপ্ত খাবার! ক্ষুব্ধ ফ্রেজারগঞ্জের দুর্গতরা]

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই চলছে বৃষ্টি। বুধবার সকাল থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আকাশ মুখভার। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে চলছে প্রবল বৃষ্টি। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবারেও চলছে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি। বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে। তাদের সঙ্গে জেলা এবং ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পূর্ত ও সড়ক দপ্তর, বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরাও যে যার নির্দিষ্ট জায়গায় নজরদারিতে রয়েছেন।

[আরও পড়ুন: দিঘা না সুন্দরবন – আমফান মোকাবিলায় কে এগিয়ে? জানুন বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement