Advertisement
Advertisement

Breaking News

সুন্দরবন

ধৃত কর্মীদের মার! ক্ষোভে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় তাণ্ডবের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

ঘটনায় চার পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।

Sundarban Coastal Police Station allegedly vandalised by tmc
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 13, 2020 4:36 pm
  • Updated:September 13, 2020 7:40 pm  

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। থানায় অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। অবিলম্বে ধৃতদের মুক্তি দিতে হবে। এই দাবিতে রবিবার সকালে সুন্দরবনের কোস্টাল থানায় ব্যাপক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন চার পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সুন্দরবন উপকূলীয় থানার (Sundarban Coastal Police Station) রাধানগর গ্রাম। অভিযোগ, এই ঘটনার পর তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর শুরু করে। খবর পেয়ে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে। যারা তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত বলেই জানা গিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয় চারটি মোটর সাইকেলও। ওই ঘটনার পর রবিবার সকালে রাধানগর গ্রাম থেকে স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা হাজির হয় কোস্টাল থানায়। অভিযোগ তোলে, অন্যায়ভাবে ওই পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে থানার লকআপে রেখে। এরপরই ধৃতদের মুক্তির দাবিতে থানার বাইরে থেকে অশ্লীল মন্তব্য করতে থাকে। নজরে পড়তেই পুলিশ জটলা সরিয়ে দেয়। অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পর থানা লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে উত্তেজিত তৃণমল কর্মীরা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পালটা আক্রমণ করে তৃণমূল কর্মীরা। আহত হন ৪ পুলিশ কর্মী। যাদের মধ্যে একজন মহিলা পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিত। তবে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে থানা থেকে চম্পট দেয় ধৃতরা।

Advertisement

Costal-PS-1

[আরও পড়ুন: টাকার লোভে নিয়মিত বৃদ্ধাকে মারধর ছেলে-বউমার! ঠাকুমাকে উদ্ধার করলেন নাতি

এ বিষয়ে গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর (Jayanta Naskar) বলেন, “তৃণমূল কর্মীদের ধরে এনে লকআপে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এটা চলছিল। তাই নিয়েই স্থানীয়রা আজ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পার্টি অফিসের মধ্যে থাকা তৃণমূল কর্মীদের বের করেও বেধড়ক মারধর করা হয়। মহিলা থেকে শিশু, পুলিশের লাঠির আঘাত থেকে কেউ রক্ষা পাননি। আমরা বিষয়টি পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছি।” এদিনের এই ঘটনার পর ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়। থানা থেকে পালানো আসামিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে এই উপকূলীয় থানা ভাঙচুর করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনের ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন থানার ওসি-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। একযুগ পর ফের সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর

[আরও পড়ুন: ১৮০০ টাকার পেট্রল কিনে মিলল শুধুই জল! আজব কাণ্ডে জলপাইগুড়িতে শোরগোল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement