দীপঙ্কর মণ্ডল: তীব্র গরম এবং ফণী আতঙ্কের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের সরকারি এবং সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলিতে আগাম ছুটি দেওয়া হয়েছিল৷ ছুটির মেয়াদ ধার্য করা হয়েছিল ৩০ জুন পর্যন্ত৷ প্রায় দু’মাসের এত দীর্ঘ ছুটিতে পড়াশোনার বেশ ক্ষতি হবে বলে মনে করছে শিক্ষাবিদদের একাংশ৷ বৃহস্পতিবার শিক্ষাদপ্তর থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরই এনিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷
শুক্রবার এর বিরোধিতায় সরব হল শিক্ষক সংগঠন বিটিইএ৷ সংগঠনের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের যুক্তি, ৮ জুনের পর স্কুল বন্ধ রাখা অনাবশ্যক৷ তাই ৮ জুনের পর থেকেই স্কুল খুলে পঠনপাঠন চালু করে দেওয়া হোক৷ তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করার কাজে কোনও অসুবিধা হবে না৷ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেও সমস্যার মুখে পড়বে না পড়ুয়ারা৷ এই মর্মে শিক্ষা দপ্তরের কাছে আবেদন রাখতে চলেছে বিটিইএ৷ সাধারণত এই সময়েই গ্রীষ্মের ছুটি থাকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে৷ তারপর স্কুল খুললে পরীক্ষা হয়৷ তাই গ্রীষ্মাবকাশ চলাকালীন অনেক সময় শিক্ষকদের স্কুলে যেতে হয়৷ অন্যান্য কাজ থাকে তাঁদের হাতে৷
কিন্তু এবছর পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে শিক্ষকদেরও গরমের ছুটিতে স্কুলে না যেতে হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর৷ শুক্রবার দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মনীশ জৈন আরও এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটিতে শিক্ষক, শিক্ষিকাদেরও স্কুলে আসতে হবে না৷ যার জেরে শিক্ষকমহল কিছুটা স্বস্তি পেলেও অন্য চিন্তা তৈরি হয়েছে৷ টানা প্রায় দু’মাসের ছুটি থাকলে কীভাবেই বা অন্যান্য কাজ হবে, সেটাই ভাবাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে৷
এর আগেও দু’বছর তীব্র দাবদাহের কারণে স্কুলে গরমের ছুটি বর্ধিত করা হয়েছিল৷ কিন্তু এবারের সংকট আরও বেশি৷ ফণীর দাপট কীভাবে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তা আগাম আঁচ করা মুশকিল৷ ফণী পরবর্তী সময়ে গরম থেকেও কতটা স্বস্তি মিলবে, তাও বোঝা যাচ্ছে না৷ তাই ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি আদৌ কমিয়ে আনা যাবে কি না, সে বিষয়েও কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর৷ পরে প্রয়োজনমতো ছুটি কাটছাঁট করা যেতে পারে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.