Advertisement
Advertisement
লোকসভা

প্রার্থী বাছাইয়ে ক্ষোভ, অসন্তোষ দূর করতে কর্মিসভা বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থীর

আদৌ কি কার্যকরী হবে সভা?

Sukanta Majumder arrenged a worker's convention
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 24, 2019 9:05 pm
  • Updated:March 24, 2019 9:05 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: কর্মীদের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভ প্রশমিত করতে বংশীহারির বুনিয়াদপুরে দলীয় সভার আয়োজন করলেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। অরাজনৈতিক এবং বহিরাগত তকমাকে ঝেড়ে ফেলে কর্মীদের উজ্জীবিত করতেই তড়িঘড়ি রবিবার কর্মিসভার ডাক দেন এই বিজেপি প্রার্থী।

[আরও পড়ুন:  ‘ড্রেন-উঠোন পরিষ্কারের ভোট নয় এটা’, প্রচারে বিজেপিকে কটাক্ষ মহুয়ার]

Advertisement

প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির অন্দরের অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও প্রার্থী নাপসন্দ হওয়ায় সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। কোথাও আবার প্রার্থী না হতে পেরে দল ছেড়েছেন পোড়খাওয়া নেতা। ছবিটা একই ছিল বালুরঘাটেও। সূত্রের খবর, প্রার্থী হওয়ার আশা ছিল খোদ দলের জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার ও উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক রবীন্দ্রনাথ বোসেরও। কখনও কানাঘুষো উঠে এসেছিল রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা দেবশ্রী চৌধুরি, জেলার সাধারণ সম্পাদক মানস সরকার ও নীলাঞ্জন রায়ের নাম। এমনকি মুকুল রায়ের নাম নিয়েও চলে জল্পনা। কেউ কেউ আবার প্রার্থী পদ নিয়ে এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে দেওয়াল লিখনও সেরে ফেলেছিলেন। শুরু করেছিলেন প্রচার। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার, হোর্ডিং-এ ভরে গিয়েছিলে। 

তবে বিজেপি প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করার পরেই শুরু হয় কোন্দল। বালুরঘাট আসনে সুকান্ত মজুমদারের নাম ঘোষণার পর থেকে অসন্তোষ তৈরি হয় স্থানীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে। দলের কাজ থেকে বিমুখ হয়ে যান কর্মীরা। তাদের অভিযোগ ছিল আরএসএসের কর্মী সুকান্ত মজুমদার। সেইসঙ্গে তাঁরা দাবি করেন এলাকার বাসিন্দা নন প্রার্থী। স্থানীয় কর্মীকে প্রার্থী করুক দল।

  [আরও পড়ুন: ঘোষণার আগেই দেওয়ালে বিজেপি প্রার্থীর নাম! দুর্গাপুরে ষড়যন্ত্রের গন্ধ]

এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই রবিবার সকালে বংশীহারির বুনিয়াদপুরের দলীয় কার্যালয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন সুকান্ত মজুমদার। সভা থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করতেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে কর্মীদের।“ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের আওতাভুক্ত সবকটি বিধানসভা কেন্দ্রে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, তাই দলের স্বার্থে এগিয়ে আসতে হবে কর্মীদেরই। পাশাপাশি, সভা থেকে বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ প্রসঙ্গেও কড়া মন্তব্য করেন তিনি। তবে কর্মীদের মানভঞ্জনে তার এই পন্থা কি আদৌ কার্যকরী হবে? প্রার্থীর হয়ে আদৌ কি প্রচারে নামবেন কর্মীরা? তা ভাবাচ্ছে দলীয় নেতৃত্বকে।

ছবি: রতন দে

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement