বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: দিনকয়েক আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে বিজেপি থেকে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনে চার আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটানো হয়। তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। সরব হয়েছিল বিরোধী পদ্মশিবির। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। সেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখে শুদ্ধিকরণের নিদান। বিজেপিতে নতুন কেউ যোগদান করতে চাইলে গঙ্গাজল, গোবর এবং গোমূত্র পান করিয়ে শুদ্ধিকরণের নিদান বিজেপির রাজ্য সভাপতির। দণ্ডি কাণ্ডের বিরোধিতা করা বিজেপি রাজ্য সভাপতি কীভাবে শুদ্ধিকরণের নিদান দিলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বুধবার নদিয়ার শান্তিপুর বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি লজে বিজেপির রাজ্য হ্যান্ডলুম অ্যান্ড উইভার্স সেলের নবদ্বীপ জোনের সম্মেলনে যোগ দিয়ে একথা বলেন সুকান্ত মজুমদার। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, তাপস সাহার পর নিয়োগ দুর্নীতিতে আর কোনও বিধায়ক সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছেন কিনা, তা নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “কে নেই, সেটা বলুন। সব ব্যাটা জেলে যাবে।” তাপস সাহার গ্রেপ্তারি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেও দাবি তাঁর।
মুকুল রায়ের প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন সুকান্ত। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, “এখনই মনে করার কিছু নেই। উনি অফিসিয়ালি বিজেপির বিধায়ক। বিজেপির টিকিটে উনি জিতেছেন। মানুষ মুকুল রায়কে দেখে কেউ ভোট দেননি। মানুষ বিজেপি চিহ্ন দেখে ভোট দিয়েছেন। যদিও আমরা তার সদস্যপদ খারিজের জন্য আদালতে শরণাপন্ন হয়েছি। কারণ, উনি তৃণমূলের পতাকা গ্রহণ করেছেন। এই মুহূর্তে তার থেকে বেশি বলা সম্ভব নয়।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.