বাবুল হক, মালদহ: সুজাপুর কাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে ১২ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল কালিয়াচক থানার পুলিশ। আক্রমণের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। বুধবার রাতভর জেলা পুলিশের বিশাল বাহিনী দুষ্কৃতীদের সন্ধানে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় ১২ জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা, ভাঙচুর, পুলিশের উপর হামলা-সহ জামিন অযোগ্য বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিধ্যেই সুজাপুরের ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়, বুধবার ধর্মঘটের নামে তাণ্ডব চালানো হয়েছে মালদহের সুজাপুরে। সকাল থেকে দীর্ঘ প্রায় ছয় ঘণ্টা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে ধর্মঘটীরা। বাম ও কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা জোট বেঁধে অবরোধ করে। অবরোধ তুলতে গেলে বাঁধা পায় পুলিশ। বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশ আধিকারিকদের। পালটা পুলিশের উপর হামলা চালায় ধর্মঘটীরা। জখম হন পাঁচজন পুলিশকর্মী। একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে দুটি পুলিশের গাড়ি-সহ মোট আটটি গাড়ি। রাতেই এই ঘটনায় ধরপাকড় শুরু হয়। অন্যদিকে, সুজাপুরের যে ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক স্তরে অস্বস্তিকর পরিস্থিত তৈরি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছিল যে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং একজন পুলিশকর্মী একের পর এক ভাঙচুর চালাচ্ছে বেশ কয়েকটি গাড়িতে।
তবে ধরপাকড় শুরু হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুর এলাকা। অন্যান্যদিনের মতোই দোকানপাট খোলা রয়েছে। বাজারও বসেছে। সূত্রের খবর, পোড়া গাড়িটি রাতেই ঘটনাস্থল থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.