নন্দন দত্ত, সিউড়ি: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Vote 2024) আগে তৃণমূলের মেগা প্রচার আগামী ১০ তারিখ, ব্রিগেডের জনসভা থেকে। আর সেই ‘জনগর্জন সভা’র প্রস্তুতিতে জেলায় জেলায় ঘুরছেন শীর্ষ নেতারা। সোমবার সিউড়িতে জনসভা করতে গিয়েছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi)। আর সেখানে তিনি জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বলেন, ‘‘কেষ্টর সাংগঠনিক শক্তি ছিল অফুরন্ত। আমি তাঁকে আরও বেশি ভালো চিনি, কারণ আমি তাঁকে ভালোবাসি। দেখবেন সেই ভালোবাসায় আমি যেন ভেঙে না পড়ি, তাই তাঁর কথা বলে নিলাম।’’
সোমবার সিউড়ির (Suri) সভা থেকে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সুব্রত বক্সির বক্তব্য, আগামী ভারতবর্ষকে নেতৃত্ব দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাই ‘জনগর্জন’-এর আওয়াজ বাংলা ছাড়িয়ে দিল্লি পৌঁছে দিতে হবে। একইসঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচন নিয়ে কর্মীদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘আগামী ভারতবর্ষে দেশ পরিচালনা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের বদলে ৩৬৫ দিনের কাজকে আইন করে স্বীকৃতি দেবেন।’’
পর পর তিনদিন। শনিবার থেকে সোমবার। প্রথমে সিউড়িতে প্রচার করেছেন রাজ্য যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। পরেরদিন পাড়ুইয়ে ফিরহাদ হাকিম। আর সোমবার সিউড়ির রবীন্দ্রসদনে সুব্রত বক্সি। পাঁচ বছর অন্তর তৃণমূলের ডাকা বিগ্রেডের আওয়াজ যেন দিল্লি পৌঁছয়। এর আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা তা নিয়ে দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতায় পথে ধরনায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সভাপতির কথায়, ‘‘এবার সংবিধান বিরোধী শক্তি বিজেপিকে পরাস্ত করতে হবে। যার নেতৃত্ব দেবে মমতাদি। তাই সকলের ব্রিগেডে যাওয়া দরকার।’’ দিল্লিতে যাওয়ার আগে ভারতীয় রেল ইচ্ছাকৃতভাবে বুকিং বাতিল করেছিল। তবুও বাস ভাড়া করে উপভোক্তাদের নিয়ে দিল্লিতে দরবার করেছে তৃণমূল। এবার হবে গর্জন। বাংলার অধিকারকে বঞ্চিত করে দেশ চালাতে পারবে না নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর দরবারের পর টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন
প্রধানমন্ত্রী।
সুব্রত বক্সির দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কোথাও দুর্নীতি থাকলে সেখান থেকে বাদ দিয়ে বাকি টাকা ছেড়ে দিন। সচিব পর্যায়ের আলোচনার কথা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার পরে ৩৫৪ বার সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। কোনও জেলায় কিছু পায়নি। তবু টাকা দেয় নি। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি। তাই টাকার জন্য জনগর্জন। বঞ্চনার প্রতিবাদে গর্জন। দিদিকে ধন্যবাদ দিতে গর্জন। কর্মীদের সংগঠিত করে বার্তা পেতে গর্জন। বাংলার সব আসনে জয়ী করতে গর্জন করতে ১০ মার্চ ব্রিগেড যেতে হবে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.