বিক্রম রায়, কোচবিহার: ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের চকচকা এলাকা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃত ছাত্রের পরিবার ও সহপাঠীরা। পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয় কোতয়ালি থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়কে।
ঘটনার সূত্রপাত দিন দশেক আগে। পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় কোচবিহারের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ বয়েজ হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া পার্থ ভৌমিক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় চকচকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত নিয়ে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল ওই ছাত্র। কিন্তু অবস্থার অবনতি না হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা পার্থকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। অভিযোগ, চকচকার ওই নার্সিংহোম পড়ুয়াকে ছাড়তে রাজি হয়নি। উলটে তাঁরা জানিয়েছেন পড়ুয়া ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। পরে সোমবার ভোরে ওই বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করে মৃতের পরিবার ও বন্ধুরা। সোমবার সকালে স্কুলের পোশাকে ওই নার্সিংহোমে চড়াও হয় রামকৃষ্ণ বয়েস হাইস্কুল ও হরিমন্দির চকচকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সঙ্গে ছিলেন ওই ছাত্রের পরিবার ও পরিজনরা। নার্সিংহোমের ভিতর ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তাঁরা। ভেঙে দেওয়া হয় হাসপাতাল চত্বরে থাকা অ্যাম্বুল্যান্স-সহ ১০টি গাড়ি। এরপর ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় নার্সিংহোম চত্বর।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতয়ালি থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অভিযু্ক্তরা। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতেও। বেধড়ক মারধর করা হয় কোতোয়ালি থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়কে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। দীর্ঘক্ষণ পর স্বাভাবিকের পথে পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এদিনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.