গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: শিক্ষার প্রথম পাঠ তো হয় বাড়িতে। তার পরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাই হল স্কুল। বিদ্যালয় ছাত্রজীবনের মূল ভিত তৈরি করে দেয়। তাই তার মান যত ভালো হবে, তত ভালোভাবেই যে কোনও বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা পোক্ত হবে পড়ুয়াদের। আর ঠিক সেই পথেই এগোচ্ছে বসিরহাটের (Basirhat) বেলের ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুল। এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ‘অটল টিংকারিং ল্যাব’। এর মূল উদ্দেশ্য বিজ্ঞান শাখায় পড়ুয়াদের উদ্ভাবনী শক্তিতে জোর দেওয়া। আর উচ্চপ্রযুক্তির (High tech) সেই ল্যাবের সাহায্যে নিজেরাই নানা ছোটখাটো যন্ত্রপাতি তৈরি করে ফেলছে পড়ুয়ারা।
বসিরহাটের প্রত্যন্ত গ্রামের সরকারি স্কুল বেলের ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুল। এলাকা প্রত্যন্ত হলে কী? এখানকার পাঠদান কিন্তু চলছে উচ্চপ্রযুক্তি নির্ভর করেই। ছোটখাটো গবেষণাও চলে সেখানকার ল্যাবে। কোথাও আগুন লাগলে মানুষকে নেভাতে হবে না, আবার নোংরা ফেলার সময় নিজে থেকেই খুলে যাবে ডাস্টবিনের মুখ, বাড়ির বাইরে কেউ অপেক্ষা করলে নিজে থেকেই কলিং বেল বেজে উঠবে – প্রযুক্তির (Technology) সাহায্যে এমন সব ছোটখাটো আধুনিক যন্ত্রপাতি এবার তৈরি করছে স্কুলের খুদে পড়ুয়ারা নিজেরাই।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাটের বেলের ধান্যকুড়িয়া হাইস্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘অটল টিংকারিং ল্যাব’। এই স্কুলেই প্রায় লক্ষ টাকা ব্যয় করে তৈরি করা হয়েছে স্টেম ল্যাব। ২৪ টি কম্পিউটার-সহ বিভিন্ন টুলস যন্ত্র মেশিন বসানো হয়েছে স্কুলের ল্যাবে।জানা যাচ্ছে, এই কাজে কেন্দ্রের ডিআরডিও বিভাগ সাহায্য করেছে। এখানে ছাত্ররা পড়াশোনার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাঠ শিখছে হাতে-কলমে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে (AI) কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন যন্ত্র তৈরি করছে ছাত্ররাই।
গ্রামের স্কুলে এভাবে পাঠদান পদ্ধতি নিয়ে স্কুলের সহ-শিক্ষক অভিজিৎ পাল বলেন, ”আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন যন্ত্র তৈরি করবে ছাত্ররা। এই বিষয়ে আমাদের ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন টুলস, কম্পিউটার, যন্ত্র আমাদের দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য স্কুলও এভাবে পড়ুয়াদের উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.