Advertisement
Advertisement
Kalna

নেই শিক্ষক, উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে অংকের ক্লাস নেন কেরানি! সাফাইয়ের দায়িত্বে পড়ুয়ারাই

ঘটনাস্থল পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয়।

Students of Sbitri girls high school as they have not enough teachers | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 28, 2023 7:34 pm
  • Updated:February 28, 2023 7:34 pm  

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। তাই বেশিরভাগ সময় ক্লাস হয় না স্কুলে। জোড়াতালি দিতে অনেকসময় আবার স্কুলের কেরানিকেও ক্লাস নিতে হয়। এখানেই শেষ নয়, সময়ে স্কুল ঘর খোলা ও স্কুল সাফাই করার কর্মীও নেই। তাই সাফাইয়ের কাজে হাত লাগাতে হয় ছাত্রীদের। ঘটনাস্থল পূর্বস্থলী ২ ব্লকে সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয়। আর এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী পাল বলেন, “উৎসশ্রী চালু হওয়ার পর স্কুলের ২৪ টি পদের মধ্যে বর্তমানে ১৭ টি পদ ফাঁকা হয়ে গেছে। বেশিরভাগই স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে অন্য স্কুলে বদলি নিয়ে চলে গিয়েছেন। ফলে অনেকসময় ছাত্রীদের ক্লাসও বন্ধ থাকে। ক্লার্ককে দিয়ে ক্লাসও নেওয়াতে হয়। গ্রুপ ডি-র কেউ না থাকায় স্কুল খোলার জন্যও ভাবতে হয়।”

পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পূর্বস্থলীতে রয়েছে সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয়টি। উচ্চ-মাধ্যমিক এই স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা ৮৩০ জন। কিন্তু হলে কি হবে, এই স্কুলে তিনভাগের দু-ভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। বিজ্ঞান বিভাগের অংক, জীবন বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকায় ছাত্রীদের পড়াশোনা উঠেছে শিকেয়। প্রধান শিক্ষিকা জানান, “বর্তমানে আমাকে নিয়ে ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। সামনের জুনে একজন আবার অবসর নেবেন। বিজ্ঞান বিভাগের কোনও শিক্ষক নেই।” এছাড়াও ওই স্কুলের ২ জন গ্রুপ-ডি কর্মী থাকলেও একজন অবসর নিয়েছেন, আর একজন বদলি নিয়ে চলে গিয়েছেন। স্বাভাবিক কারণেই সময়ে স্কুল খোলা ও স্কুল সাফাইয়ের কর্মী না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কপালে পড়েছে ভাঁজ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে ২৩৫টি কেন্দ্র ‘সংবেদনশীল’ হিসেবে চিহ্নিত, জোর কড়া চেকিং ও সচেতনতায়]

স্কুলকে পরিষ্কার রাখতে তাই বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রীরাও নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েই স্কুল সাফাই করেন। এছাড়াও অধিকাংশ সময় ক্লাস বন্ধ থাকায় তাই স্কুলের ক্লার্ককে নিতে হয় অংকের ক্লাস। সুমন্ত সাহা নামের ওই ক্লার্ক বলেন, “প্রধান শিক্ষিকার অনুরোধে কাজের ফাঁকে-ফাঁকে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অংকের ক্লাস নিতে হয়। আমার অংকে অনার্স ছিল।” স্কুলের পঠন পাঠনের এমনই এক বেহাল দশা দেখে মেয়েদের পড়াশোনা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরাও। ওই স্কুলেরই ইংরাজি বিষয়ের শিক্ষিকা ও অভিভাবক রানী ভট্টাচার্য বলেন, “আমার মেয়েকে আমার স্কুলেই ভরতি করেছি। কারণ অন্যান্য ছাত্রীদের মত আমার মেয়েকেও আমি দেখতে পারব। স্কুলে অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় রুটিন অনুযায়ী ক্লাস হচ্ছে না। জোড়াতালি দেওয়ার মত পড়াশোনা চলার কারণে চিন্তায় রয়েছি।” কালনা মহকুমা সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক জহরলাল প্রামাণিক বলেন,“সমস্যার সমাধানের জন্য বিষয়টি জেলার উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘পুলিশকে সংবিধান শেখাতে এসেছি’, নিশীথের কনভয়ে হামলার ৩দিনের মাথায় কোচবিহারে সুকান্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement