শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সোমবার থেকেই পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন জলপাইগুড়ি ফার্মেসি কলেজের (Institute of Pharmacy – Jalpaiguri) ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়ারা। রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয় অধ্যক্ষকে। চাপের মুখে বাধ্য হয়ে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেও কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতেও সমস্যা মিটল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পরীক্ষা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না জানানোয় এখনও বিক্ষোভে শামিল পড়ুয়ারা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সের (The West Bengal University Of Health Sciences) নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় পরীক্ষায় বসার কথা বি-ফার্মের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু তার আগের দিন, সোমবার থেকেই পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন পরীক্ষার্থীরা। কলেজের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকদের আটকে চলে বিক্ষোভ। ওই পড়ুয়াদের দাবি ছিল, লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ৮০ এবং ২০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করতে হবে। কলেজের তরফে ইতিবাচক কোনও ইঙ্গিত না দেওয়ায় রাতভর অধ্যক্ষ সৌরভ সিংহরায়কে আটকে রাখেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। এরমধ্যে পরীক্ষা দিতে আসা এক ছাত্রের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার সকালে বাধ্য হয়ে পরীক্ষা বাতিলের কথা ঘোষনা করেন জলপাইগুড়ি ফার্মেসি কলেজের অধ্যক্ষ।
তিনি জানান, “যা পরিস্থিতি তাতে পরীক্ষা নেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়।” পরীক্ষা দিতে আসা সমস্ত ছাত্রছাত্রীর করোনা (Corona Virus) পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, সার্বিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা ইউনিভার্সিটিকেও লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। তাই কলেজের সিদ্ধান্তে খুশি হলেও ইউনিভার্সিটি স্পষ্টভাবে কিছু না জানানো পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে পরীক্ষার্থীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.