রনি মাজি, বর্ধমান: রাজ্য সরকারের নির্দেশ রয়েছে, প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না স্কুল শিক্ষকরা। কিন্তু এবার সেই নিয়মেরই বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা৷ স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন করাতে দিতে হবে, এই দাবিতে তুলে মঙ্গলবার পথে নামল পূর্ব বর্ধমানের গলসির বিভিন্ন স্কুলের একদল পড়ুয়া। এদিন তারা প্রথমে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করে গলসি বাজার চত্বরে। এরপর গলসি-২ এর বিডিও শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে৷ এবং নিজেদের দাবি জানায়। পড়ুয়াদের দাবি শুনে, তা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
[ আরও পড়ুন: প্রতিবাদের ভাষা শেখালেন কিশোরী, প্রকাশ্যে ইভটিজারকে জুতোপেটা স্কুল ছাত্রীর ]
অন্যদিকে, স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনির প্রতিবাদ করে আন্দোলন জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু করেছে গৃহশিক্ষকদের একটি সংগঠন। কয়েকদিন আগেই সংগঠনের তরফে গলসির বিডিওকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ আবার স্কুল শিক্ষকদের কাছেই প্রাইভেট টিউশন পড়তে বেশি আগ্রহী৷ এবং সেই দাবিতে যে আন্দোলন তৈরি হয়েছে, তাতে শোরগোল পড়েছে জেলায়। যদিও গৃহশিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, স্কুল শিক্ষকদের একাংশই পড়ুয়াদের উসকানি দিয়ে, তাদের বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে৷ এবং আন্দোলনে নামিয়েছে। স্কুল শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশনি করলে, তা সরকারি আইনভঙ্গ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট টিউটর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেলার যুগ্ম সম্পাদক সুমিত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “সরকারী আইন রয়েছে স্কুলশিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না। তারপরেও বহু শিক্ষক সেই আইন মানছেন না। আমরা সংগঠনের তরফে সেই সব শিক্ষকদের তালিকাও জমা দিয়েছি প্রশাসনের কাছে। আর এদিনের আন্দোলন ওই সব শিক্ষকদের উসকানি রয়েছে।” সংগঠনের দাবি, স্কুল শিক্ষকরা মোটা বেতন পান। বেকার ছেলেমেয়েরা গৃহশিক্ষকতা করে রুটিরুজির সংস্থান করেন। স্কুলশিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা করলে, বেকারদের রুটিরুজিতে টান পড়বে।
[ আরও পড়ুন: বিধায়ক দলে যোগ দিতেই বনগাঁয় বিক্ষোভ মিছিল বিজেপি কর্মীদের ]
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে স্কুলশিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশনি করতে পারবেন না বলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের চিঠি দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক পূর্ব বর্ধমান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শ্রীধর প্রামাণিক গত ১০ জুন জেলার প্রতিটি স্কুলে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। স্কুলের তরফে শিক্ষকদের কাছে মুচলেকাও নেওয়া হচ্ছে৷ যেখানে শিক্ষকদের জানাতে হচ্ছে যে, তাঁরা গৃহশিক্ষকতা করবেন না। তারপর সেই মুচলেখা স্কুলের প্রধানরা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে পাঠাচ্ছেন।
ছবি: মুকুলেসুর রহমান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.