সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মাসখানেক আগের ছাত্রমৃত্যুতে এবার ফের উঠে এল ব়্যাগিংয়ের তত্ত্ব। অভিযোগ, কোচিং সেন্টারে সিনিয়ররা ক্রমাগত মানসিক হেনস্তা করে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রকে। যার জেরেই আত্মহত্যা। যাদবপুর (Jadavpur) নিয়ে শোরগোলের মাঝেই সরব ওই পড়ুয়ার পরিবার। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিষয়টা ঠিক কী? গত ১৬ জুলাই কাকদ্বীপের বাসিন্দা দশম শ্রেণির এক ছাত্রের আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে। কাকদ্বীপ আদর্শ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র ছিল সে। মৃত্যুর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছে, এক সিনিয়রের পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে মৃত ছাত্রকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই আত্মঘাতী হয় সে। তবে বিষয়টা বুঝতেও পারেননি বাবা-মা।
ছাত্রের মৃত্যুর পর বন্ধুরা মৃতের বাবা-মাকে সেই ভাইরাল ভিডিও দেখায়। এরপর ন্যায় বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃতার মা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ। এসবের মাঝেই যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তারপরই ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়ে সরব হলেন ওই ছাত্রের মা-বাবা। তাঁদের অভিযোগ, ওই ছাত্রকে অপমান করা হয়েছিল। যার জেরে অবসাদে ভুগতে শুরু করে। যার পরিণতি আত্মহত্যা। মৃতের মায়ের আরজি, তদন্ত হোক তাঁর ছেলের মৃত্যুর। সুবিচার চান তাঁরা। এদিকে, পুলিশের দাবি ওই ছাত্রের মৃত্যুর পিছনে ছিল ত্রিকোণ প্রেম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.