সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ইউক্রেনের পর ইজরায়েল। ফের যুদ্ধের মাঝে আটকে দুর্গাপুরের পড়ুয়া। একমাত্র মেয়ে ফিরবে কিনা তা মেয়ের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন বাবা-মা। তবে পিছু ছাড়ছে না দুশ্চিন্তা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে দুর্গাপুরের (Durgapur) মেয়ে মনশ্রী চট্টোপাধ্যায়। দুর্গাপুরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিটি সেন্টারের বেঙ্গল অম্বুজ্জা কলোনির বাসিন্দা রাজ্য সরকারের প্রাক্তন জলসম্পদ উন্নয়ন ও অনুসন্ধান বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর একমাত্র মেয়ে মনশ্রী ইজরায়েলের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। মনশ্রী দুর্গাপুরের সিএমআরআই থেকে ‘ক্যান্সার অন ন্যানো টেকনোলজি’ নিয়ে পিএইচডি করেছেন। তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরেট করতে গিয়েছেন।
মনশ্রীর বাবা সুশান্তবাবু বলেন, “প্রতিদিনই দফায় দফায় মেয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তেল আভিভে এখনও যুদ্ধ পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে যেকোনও দিন যুদ্ধ বড় আকার নিতে পারে। ওখানকার ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা মেয়ের সঙ্গে দেখাও করেছে। ও পরিণত। ওখানেই আছে। আমার থেকে পরিস্থিতি আরও ভালো বুঝতে পারছে। তাই ও ফিরবে কি না সেই সিদ্ধান্তের ভার ওর উপরই ছেড়ে দিয়েছি। এখানে বসে উদ্বেগ করে লাভ নেই। আমি সিদ্ধান্ত মেয়ের উপর চাপিয়ে দেব না।” মা, বনশ্রী চট্টোপাধ্যায়ও চান মেয়েই নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিক। ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষায় ভারতের তরফে ঘনঘন যোগাযোগ করা হচ্ছে ইজরায়েলে। ভারতীয় পড়ুয়াদের এবং নাগরিকদের নিরাপদে এদেশে ফিরিয়ে আনতে ভারত সরকার শুরু করেছে ‘অপারেশন অজয়’ চাটার্ড উড়ান। প্রসঙ্গত, ভারতীয় বহু নাগরিক কর্মসূত্রে ও পড়াশোনার তাগিদে ইজরায়েলে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই আটকে পড়েছেন তাঁদের অধিকাংশই। ঘটনাচক্রে আটকে পড়েছেন ভয়ানক যুদ্ধের মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.