Advertisement
Advertisement

Breaking News

Cooch Behar

স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন! কোচবিহারে মৃত্যু নাবালিকার

গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত-সহ ৫।

Student of class IX allegedly abducted and raped, died in Cooch Behar | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 26, 2023 11:13 am
  • Updated:July 26, 2023 11:39 am  

বিক্রম রায়, কোচবিহার: স্কুল থেকে ফেরার পথে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল কয়েকজন যুবক। তারপর চলে যৌন নির্যাতন। আর সেই নির্যাতনের চোটেই কোমায় চলে গিয়েছিল কোচবিহারের নাবালিকা। বুধবার সকালে শেষ হল তাঁর জীবনযুদ্ধ। এমজেএন হাসপাতালে মৃত্যু হল ১৪ বছরের কিশোরীর। এই ঘটনায় কোচবিহারে (Cooch Behar) শোকের ছায়া। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার।

ঘটনার সূত্রপাত ১৮ জুলাই। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লকের খেপাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে ৫ যুবক। তারপর থেকে ২-৩ দিন তার কোনও খোঁজ মেলেনি। ২১ জুলাই পরিবারের সদস্যরা কিশোরীর খোঁজ পায়। এক বেসরকারি নার্সিংহোমে অচৈতন্য অবস্থায় ভরতি ছিল সে। চিকিৎসকরা জানান, মাথায় অক্সিজেন কম যাওয়ায় কোমায় রয়েছে কিশোরী। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে ভরতি করে। পরে তৃণমূলের সহযোগিতায় ফের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত পরশু তাকে ফের এমজেএন হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। আজ সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভোট গণনার রাতে ভাঙড়ে অশান্তিতে পুলিশের জালে আরও ১, গ্রেপ্তার ISF-এর জয়ী প্রার্থী]

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। কোচবিহারের বিজেপি বিধায়করা, রাজ্য নেতৃত্বও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তৃণমূল নেতৃত্বও পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। বিজেপির অভিযোগ ছিল, কোচবিহারের নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে জেলা পুলিশ। কোচবিহারের ডেপুটি পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) চন্দন দাস জানান, গণধর্ষণ নয়। মূল অভিযুক্ত কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। সেই সময় কিশোরীর ব্রেনে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। যার ফলে মেয়েটি কোমায় চলে গিয়েছিল। তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত বাপ্পা বর্মন-সহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা হলেন সত্য সরকার, মৃণাল সরকার, সুমন সরকার ও সুশান্ত দাস। অভিযুক্ত বাপ্পা বর্মন নির্যাতিতার গ্রামেরই বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, যৌন নির্যাতনের পর মেয়েটি অচৈতন্য হয়ে যাওয়ার পর তাকে মাথাভাঙ্গার হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। 

[আরও পড়ুন: দু’কোটির চোরাই সোনা লোকানো খাটের পায়ায়! চোরের ‘বন্ধু’ সেজে উদ্ধার পুলিশের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement