মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: আনিস খান (Anis Khan) হত্যাকাণ্ডে উলুবেড়িয়া উপ সংশোধনাগারে অভিযুক্তদের শনাক্তকরণে টিআই প্যারেড। তাতে অংশ নিলেন আনিসের বাবা সালাম খান। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক পর সংশোধনাগার থেকে বেরন তিনি। প্রকৃত অভিযুক্তদের টিআই প্যারেডে আনাই হয়নি বলেই দাবি নিহত ছাত্রনেতার বাবার।
গত শুক্রবার রাতে ছাত্রনেতা আনিস খানকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে পুলিশের উপর আস্থা নেই বলেই দাবি নিহতের পরিবারের। সিবিআই তদন্তের আরজিতেই সরব তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে সিট গঠন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এদিকে, কলকাতা হাই কোর্টেও একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই হাই কোর্টও সিটের তদন্তের উপরেই আস্থা রাখে। নিহতের কবর থেকে দেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত এবং অভিযুক্তদের শনাক্তকরণে টিআই প্যারেডের নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়াও আনিসের ব্যবহৃত মোবাইলটি সিটের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়।
হাই কোর্টের নির্দেশের পরই সিটের (SIT) সদস্যদের সহযোগিতা করেন আনিসের বাবা। এরপর ঘটনার সাতদিন পর শুক্রবার উলুবেড়িয়া উপ সংশোধনাগারে অবশেষে অভিযুক্তদের শনাক্তকরণে টিআই প্যারেডের ব্যবস্থা করা হয়। বিকেল চারটে নাগাদ আনিসের বাবা সালাম খান ও তাঁর পরিবারের কয়েকজন উলুবেড়িয়া উপ সংশোধনাগার যান। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক পর সংশোধনাগার থেকে বেরন তাঁরা। যারা প্রকৃত অভিযুক্ত তাদের টিআই প্যারেডে আনা হয়নি বলেই দাবি নিহত ছাত্রনেতার বাবার। এদিন আদালতেই আনিসের মোবাইলটিও সিটের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মোবাইলটি হায়দরাবাদে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। আগামী দু’সপ্তাহ পর তথ্য হাই কোর্টে জমা দিতে হবে সিটকে।
এদিকে, আনিস হত্যাকাণ্ডে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও আমতা থানা (Amta Police Station) চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযুক্তদেপ গ্রেপ্তারির দাবিতে আমতা থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই। বিক্ষোভকারীরা গার্ডরেল উলটে ফেলে দেয়। ব্যারিকেড ভাঙারও চেষ্টা করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। অভিযোগ ইটের আঘাতে কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
নিহত ছাত্রনেতার বাড়িতে যান বিমান বসু এবং সূর্যকান্ত মিশ্ররা। আনিসের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.