নন্দন দত্ত: ময়ূরাক্ষী থেকে বেআইনি বালি খাদান। যার জেরে চোরাবলিতে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রের। বীরভূমের সিউড়িতে এঘটনায় উত্তেজনা চরমে উঠে। স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। নিগৃহীত হন এক তৃণমূল নেতা। দেহ আটকে রেখে দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ। অবৈধ বালিঘাট বন্ধের ব্যাপারে পুলিশের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয়রা।
বুধবার দুপুরে ৪ বন্ধুর সঙ্গে ময়ূরাক্ষী নদীতে গিয়েছিলেন মনোজিৎ মণ্ডল। তারা স্নান করতে নেমেছিলেন নেমেছিলেন রায়পুর ঘাটে। দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ মনোজিতের বাড়ি সিউড়ি থানার কড়িধ্যা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ময়ূরাক্ষীর ঘাটগুলি থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা চলছে। এর ফলে চোরাবালির সৃষ্টি হয়। বাকি বন্ধুরা উঠে এলেও, সাঁতার না জানা মনোজিৎ চোরাবালিতে আটকে পড়েন। বুধবার দিনভর খোজাখুঁজির পরও তার দেহ উদ্ধার করা যায়নি। দমকল কর্মীরা চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। বৃহস্পতিবার দেহ উদ্ধারে নামানো হয় ডুবুরি। এদিন সকালে মনোজিতের দেহ মেলার পর স্থানীয়দের ক্ষোভ চরমে ওঠে। এলাকায় অবৈধ বালি ঘাট বন্ধের দাবিতে দেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। মধ্যস্থতা করতে এসে গ্রামবাসীদের হাতে হেনস্থার স্বীকার হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জীব রায়। খটঙ্গা অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সিউড়ি থানার পুলিশও গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয়দের কথা মেনে অবৈধ বালি ঘাট বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেয় পুলিশ। তারপর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বীরভূমের জেলার নানা প্রান্তে বিভিন্ন নদী ঘাট থেকে বালি তোলার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার পর বালি তোলা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে। কিছু দিন গেলেই আবার পুরনো অবস্থা। রায়পুর ঘাটে কয়েক বছর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। তারপরও প্রশাসন কিছু করেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.