ধীমান রায়, কাটোয়া: স্কুলে দুটি শৌচাগার। একটি ছাত্রদের, আর একটি ছাত্রীদের। কিন্তু, স্কুল চলাকালীন মাঝে মধ্যেই ছাত্রদের শৌচাগারটি তালাবন্ধ থাকে। বন্ধ শৌচাগার দেখে পাঁচিল টপকে শৌচকর্ম করতে গিয়ে ঘটল বিপত্তি। পাঁচিল থেকে পড়ে হাত ভাঙল নবম শ্রেণির এক ছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি অতীন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দিরে। আহত ছাত্র ভরতি হাসপাতালে।
গ্রাম বাংলার বহু স্কুলেই শৌচাগারে না থাকায় সমস্যা পড়তে হয় পড়ুয়াদের। কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি অতীন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দিরে কিন্ত ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা শৌচাগার আছে। পড়ুয়াদের দাবি, স্কুলে যখন ক্লাস চলে, তখন ছাত্রীদের শৌচাগার খোলাই থাকে। কিন্তু মাঝে-মধ্যে ছাত্রদের শৌচাগারটি তালাবন্ধ করে রাখা হয়। আর শৌচাগারের চাবিটি নিজের কাছেই রেখে দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ফলে বাধ্য হয়েই শৌচকর্ম করার জন্য স্কুলের পাঁচিল টপকাতে হয় ছাত্রীদের। তাতেই ঘটল বিপত্তি। জানা গিয়েছে, বুধবার প্রথম পিরিয়ডের পরেই শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন হয় নবম শ্রেণির ছাত্র প্রদীপ দাস, সুখেন্দু দাস ও দেবনাথ দাসের। কিন্তু তখন স্কুলের ছাত্রদের শৌচাগারটি তালাবন্ধ ছিল বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই পাঁচিল টপকাতে যায় ওই তিন পড়ুয়া। কিন্তু, সুখেন ও দেবনাথ পাঁচিল টপকে ওপারে যেতে পারলেও, পা হড়কে যায় প্রদীপের। পাঁচিল থেকে নিচে পড়ে যায় সে। বাঁ হাত ভেঙে গিয়েছে তার। অল্প চোট লেগেছে ডান হাতেও। হাসপাতালে ভরতি প্রদীপ।
কিন্তু, ক্লাস চলাকালীন স্কুলের ছাত্রদের শৌচাগারটি তালাবন্ধ করে রাখা হয় কেন? বারবার ফোন করেও গঙ্গাটিকুরি অতীন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অরিজিৎ দাস দাবি, ‘আমার মনে হয় না শৌচাগার তালা দেওয়া থাকে। পড়ুয়ারা মিথ্যা কথা বলছে। তবুও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলব।’ এদিকে এই ঘটনায় স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন আহত ছাত্রের বাবা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.